Wednesday, June 27, 2012

বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌবহরের সংবাদ অসত্য .. সংসদের প্রশ্নোত্তরে দীপু মনি

বঙ্গোপসাগরে মার্কিন সপ্তম নৌবহর মোতায়েন হয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা বানোয়াট ও অসত্য। আজ বুধবার সংসদে টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এ কথা জানান। বিএনপির সাংসদ এ বি এম আশরাফউদ্দিন নিজানের এ-সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, অনুমান-নির্ভর এসব সংবাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এ বিষয়ে সরকার এর মধ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও এ সংবাদ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশকে কোনো প্রস্তাবও দেওয়া হয়নি। মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। ১৯৯১-৯২ সালে বাংলাদেশে নিবন্ধিত মিয়ানমারের শরণার্থীর সংখ্যা ছিল আড়াই লাখ। ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুই লাখ ৩৬ হাজার শরণার্থীকে সে দেশে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজারের নয়াপাড়া ও কুতুপালং ক্যাম্পে নিবন্ধিত শরণার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার ২৬৬ জন। পরিবার সম্প্রসারণের ফলে বর্তমানে এই সংখ্যা বেড়েছে। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিয়ানমার সফরের মধ্য দিয়ে শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। শরণার্থীদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ কূটনৈতিক তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি জানান, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি পুরোনো ও বিভিন্ন ফোরামে আটকে পড়া ব্যক্তিদের দেশটিতে ফেরত নেওয়ার দাবি উঠে আসছে। কিন্তু পাকিস্তান সরকার এ বিষয়ে তাদের অনীহা ও অসুবিধার কথা উল্লেখ করে আসছে। ১৯৭১ সালের পর পাকিস্তানে ফেরত যেতে ইচ্ছুক পাঁচ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪১ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। আর যারা বাংলাদেশে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। পরে পাকিস্তান সরকার এক লাখ ২৬ হাজার ৯৪১ জন আটকে পড়াদের দেশে ফিরিয়ে নেয়। এরপর ১৯৯২ সালে পাকিস্তান ৩০০ পরিবারকে পাকিস্তানে ফেরত নেবে বলে জানায়। কিন্তু ১৯৯৩ সালে মাত্র ৫০ পরিবারকে ফেরত নেওয়ার পর প্রক্রিয়াটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ফোরামে বিষয়টি উত্থাপন করা হলেও সন্তোষজনক কোনো সুরাহা হয়নি।

No comments:

Post a Comment