Saturday, August 23, 2014

ফুটবল খেলোয়াড় - জসীম উদ্দিন

                                              ফুটবল খেলোয়াড় 

                                                                     জসীম উদ্দিন

আমাদের মেসে ইমদাদ হক ফুটবল খেলোয়াড়, হাতে পায়ে মুখে শত আঘাতের ক্ষতে খ্যাতি লেখা তার। সন্ধ্যা বেলায় দেখিবে তাহারে পটি বাঁধি পায়ে হাতে, মালিশ মাখিছে প্রতি গিঠে গিঠে কাত হয়ে বিছানাতে। মেসের চাকর হয় লবেজান সেঁক দিতে ভাঙ্গা হাড়ে, সারা রাত শুধু ছটফট করে কেঁদে কেঁদে ডাক ছাড়ে। আমরা তো ভাবি ছমাসের তরে পঙ্গু সে হল হায়, ফুটবল-টিমে বল লয়ে কভু দেখিতে পাব না তায়। প্রভাত বেলায় খবর লইতে ছুটে যাই তার ঘরে, বিছানা তাহার শূন্য পড়িয়া ভাঙা খাটিয়ার পরে। টেবিলের পরে ছোট বড় যত মালিশের শিশিগুলি,

সাহেব ও মোসাহেব – কাজী নজরুল ইসলাম

         www.fb.com/jrliton77

     সাহেব ও মোসাহেব

কাজী নজরুল ইসলাম


সাহেব কহেন, “চমৎকার! সে চমৎকার!”
মোসাহেব বলে, “চমৎকার সে হতেই হবে যে!

আয়না দেখেই চমকে বলে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


আয়না দেখেই চমকে বলে

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আয়না দেখেই চমকে বলে,
“মুখ যে দেখি ফ্যাকাশে,
বেশিদিন আর বাঁচব না তো–’
ভাবছে বসে একা সে।

ডাক্তারেরা লুটল কড়ি,

Friday, August 15, 2014

ভেজাল - সুকান্ত ভট্টাচার্য


                         ভেজাল

                   সুকান্ত ভট্টাচার্য

ভেজাল, ভেজাল ভেজাল রে ভাই, ভেজাল সারা দেশটায়,
ভেজাল ছাড়া খাঁটি জিনিষ মিলবে নাকো চেষ্টায়!

খোকার সাধ - কাজী নজরুল ইসলাম

      খোকার সাধ

কাজী নজরুল ইসলাম

আমি হব সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুম-বাগে উঠব আমি ডাকি।
সূয্যিমামা জাগার আগে উঠব আমি জেগে,

Wednesday, August 06, 2014

ওদের জন্য মমতা - কাজী নজরুল ইসলাম

  ওদের জন্য মমতা

কাজী নজরুল ইসলাম

এই যে মায়ের অনাদরে ক্লিষ্ট শিশুগুলি,
পরনে নেই ছেঁড়া কানি, সারা গায়ে ধূলি।
সারাদিনের অনাহারে শুষ্ক বদনখানি

কিশোর কুমার: চতুর্থ স্ত্রী লিনার সঙ্গে তার সংসার টিকেছিল জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। Collected

Tuesday, August 05, 2014

কলম - সুকান্ত ভট্টাচার্য


               www.fb.com/jrliton77        

                  কলম

                  সুকান্ত ভট্টাচার্য

কলম, তুমি কত না যুগ কত না কাল ধ’রে
অক্ষরে অক্ষরে
গিয়েছ শুধু ক্লান্তিহীন কাহিনী শুরু ক’রে।

Monday, August 04, 2014

অপরাধী এক বেলজিয়ান

১.
অপরাধী এক বেলজিয়ান
পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রাণের ভয়ে ভারতে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সম্পর্কে টেলিভিশনে এক সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছিল। আয়েশি ভঙ্গিমায় তা দেখছিলেন বেলজিয়ান যুবক মারিও রয়মান্স। হঠা ৎ হতদরিদ্র এক মায়ের কোলে অপুষ্টিতে আক্রান্ত, হাড্ডিসার এক শিশুকে দেখে আঁতকে উঠলেন

Sunday, August 03, 2014

মোহররম - কাজী নজরুল ইসলাম

          মোহররম

কাজী নজরুল ইসলাম

নীল সিয়া আসমান, লালে লাল দুনিয়া,-
“আম্মা ! লা’ল তেরি খুন কিয়া খুনিয়া!”
কাঁদে কোন্ ক্রন্দসী কারবালা ফোরাতে,

অভিযান - কাজী নজরুল ইসলাম

         অভিযান

কাজী নজরুল ইসলাম

নতুন পথের যাত্রা-পথিক
চালাও অভিযান !
উচ্চ কণ্ঠে উচ্চার আজ –
“মানুষ মহীয়ান !”

চারদিকে আজ ভীরুর মেলা ,

পাঞ্জেরি - ফররুখ আহমেদ

                                                        

                                                                     www.fb.com/jrliton77   

                                                                        পাঞ্জেরি 

                                                                ফররুখ আহমেদ

                                                         রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি? 
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে? 

Saturday, August 02, 2014

স্ফুলিঙ্গ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

        স্ফুলিঙ্গ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বহু দিন ধ’রে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে

আমি যদি বাবা হতাম,বাবা হত খোকা - কাজী নজরুল ইসলাম

আমি যদি বাবা হতাম,বাবা হত খোকা

           কাজী নজরুল ইসলাম

আমি যদি বাবা হতুম, বাবা হত খোকা,
না হলে তার নামতা,
মারতাম মাথায় টোকা ||
রোজ যদি হত রবিবার !
কি মজাটাই হত যে আমার !
কেবল ছুটি ! থাকত নাক নামতা লেখা জোকা!
থাকত না কো যুক্ত অক্ষর, অংকে ধরত পোকা||

                                           ফেইসবুকে আমি

কয়েকটি লাইন - জীবনানন্দ দাশ

   কয়েকটি লাইন

        জীবনানন্দ দাশ

কেউ যাহা জানে নাই কোনো একবানী –
আমি বহে আনি;
একদিন শুনেছ যে সুর –
ফুরায়েছে পুরনো তা — কোনো এক নতুন কিছুর
আছে প্রয়োজন,
তাই আমি আসিয়াছি, আমার মতন
আর নাই কেউ!
সৃষ্টির সিন্ধুর বুকে আমি এক ঢেউ
আজিকার: শেষ মুহুর্তের

মামার বাড়ি - জসীমউদদীন

মামার বাড়ি

জসীমউদদীন

 
 
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা,
ফুল তুলিতে যাই
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ি যাই।


মামার বাড়ি পদ্মপুকুর

মানুষ - কাজী নজরুল ইসলাম

www.fb.com/jrliton77

               মানুষ 

   কাজী নজরুল ইসলাম

গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান,
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে, সল কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
 
‘পূজারী, দুয়ার খোল,
ক্ষুদার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হলো!’
স্বপ্ন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয়
দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হ’য়ে যাবে নিশ্চয়!
জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুদায় কন্ঠ ক্ষীণ

তোমাকে পাওয়ার জন্যে,হে স্বাধীনতা - শামসুররাহমান

তোমাকে পাওয়ার জন্যে,হে স্বাধীনতা

            শামসুররাহমান

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,
তোমাকে পাওয়ার জন্যে
আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায় ?

স্বাধীনতা তুমি - শামসুর রাহমান



স্বাধীনতা তুমি

শামসুর রাহমান




স্বাধীনতা তুমি
রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।
স্বাধীনতা তুমি

দুর্ভাগা দেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  www.fb.com/jrliton77

   দুর্ভাগা দেশ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান,
অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান।
মানুষের অধিকারে
বঞ্চিত করেছ যারে,

নক্সী কাঁথার মাঠ - ( তের ) - জসীমউদ্দীন

নক্সী কাঁথার মাঠ - ( তের )

জসীমউদ্দীন

একটি বছর হইয়াছে সেই রূপাই গিয়াছে চলি,
দিনে দিনে দিন নব আশা লয়ে সাজুরে গিয়াছে ছলি।
কাইজায় যারা গিয়াছিল গাঁর, তারা ফিরিয়াছে বাড়ি,

তখন সত্যি মানুষ ছিলাম - আসাদ চৌধুরী

                            তখন সত্যি মানুষ ছিলাম

                                            আসাদ চৌধুরী

নদীর জলে আগুন ছিল আগুন ছিল বৃষ্টিতে আগুন ছিল বীরাঙ্গনার উদাস করা দৃষ্টিতে। আগুন ছিল গানের সুরে

ভোলানাথ লিখেছিল - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  www.fb.com/jrliton77

ভোলানাথ লিখেছিল

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভোলানাথ লিখেছিল ,
তিন-চারে নব্বই —
গণিতের মার্কায়
কাটা গেল সর্বই ।
তিন চারে বারো হয় ,

শরতে - আহসান হাবীব





       শরতে

আহসান হাবীব

ফূল ফুল তুল তুল গা ভেজা শিশিরে,
বুল বুল মশগুল, কার গান গাহিরে?
তর বর উঠে পর রাত ভোর দেখ না?
হাত তুলে প্রাণ খুলে স্রষ্টারে ডাক না।

আমাদের গ্রাম - বন্দে আলী মিঞা

           আমাদের গ্রাম

             বন্দে আলী মিঞা

আমাদের ছোটো গাঁয়ে ছোটো ছোটো ঘর
থাকি সেথা সবে মিলে কেহ নাহি পর।
পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাই
একসাথে খেলি আর পাঠশালে যাই।
হিংসা ও মারামারি কভু নাহি করি,
পিতা-মাতা গুরুজনে সদা মোরা ডরি।
আমাদের ছোটো গ্রামে মায়ের সমান,
আলো দিয়ে বায়ু দিয়ে বাঁচাইছে প্রাণ।
মাঠভরা ধান আর জলভরা দিঘি,
চাঁদের কিরণ লেগে করে ঝিকিমিকি।
আমগাছ জামগাছ বাঁশ ঝাড় যেন,
মিলে মিশে আছে ওরা আত্মীয় হেন।
সকালে সোনার রবি পূব দিকে ওঠে
পাখি ডাকে, বায়ু বয়, নানা ফুল ফোটে।

In Facebook

বিক্ষোভ - সুকান্ত ভট্টাচার্য

            বিক্ষোভ
         সুকান্ত ভট্টাচার্য 
দৃঢ় সত্যের দিতে হবে খাঁটি দাম,
হে স্বদেশ, ফের সেই কথা জানলাম।

আগামী - সুকান্ত ভট্টাচার্য

                  আগামী

               সুকান্ত ভট্টাচার্য

জড় নই, মৃত নই, নই অন্ধকারের খনিজ,
আমি তো জীবন্ত প্রাণ, আমি এক অঙ্কুরিত বীজ;

ন্যায়দণ্ড - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


  www.fb.com/jrliton77

      ন্যায়দণ্ড

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তোমার ন্যায়ের দণ্ড প্রত্যেকের করে
অর্পণ করেছ নিজে। প্রত্যেকের ’পরে

সব্যসাচী - কাজী নজরুল ইসলাম

        সব্যসাচী

কাজী নজরুল ইসলাম

ওরে ভয় নাই আর, দুলিয়া উঠেছে হিমালয়-চাপা প্রাচী,
গৌরশিখরে তুহিন ভেদিয়া জাগিছে সব্যসাচী!
দ্বাপর যুগের মৃত্যু ঠেলিয়া
জাগে মহাযোগী নয়ন মেলিয়া,

বঙ্গমাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

              www.fb.com/jrliton77
              বঙ্গমাতা

   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পূণ্যে পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে
মানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানে।

মেয়েদের পদবী - সুকান্ত ভট্টাচার্য

      মেয়েদের  পদবী

         সুকান্ত ভট্টাচার্য

মেয়েদের পদবীতে গোলমাল ভারী,
অনেকের নামে তাই দেখি বাড়াবাড়ি;

প্রাণ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

              www.fb.com/jrliton77    
                    প্রাণ

   রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে ,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই ।

অনুভব - সুকান্ত ভট্টাচার্য

        অনুভব

    সুকান্ত ভট্টাচার্য

১৯৪০
অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমি
জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি।

পুরনো ধাঁধাঁ - সুকান্ত ভট্টাচার্য

     পুরনো ধাঁধাঁ

      সুকান্ত ভট্টাচার্য

বলতে পারো বড়মানুষ মোটর কেন চড়বে?
গরীব কেন সেই মোটরের তলায় চাপা পড়বে?

আত্মত্রাণ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

www.fb.com/jrliton77

     আত্মত্রাণ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিপদে মোরে রক্ষা করো
এ নহে মোর প্রার্থনা,
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে

বোধন - সুকান্ত ভট্টাচার্য

               বোধন

          সুকান্ত ভট্টাচার্য

হে মহামানব, একবার এসো ফিরে
শুধু একবার চোখ মেলো এই গ্রাম নগরের ভিড়ে,

দেশলাই কাঠি - সুকান্ত ভট্টাচার্য

www.fb.com/jrliton77


 

দেশলাই কাঠি

সুকান্ত ভট্টাচার্য

আমি একটা ছোট্ট দেশলাইয়ের কাঠি
এত নগণ্য, হয়তো চোখেও পড়ি না;
তবু জেনো
মুখে আমার উসখুস করছে বারুদ—
বুকে আমার জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস;

দেয়ালিকা - সুকান্ত ভট্টাচার্য

       দেয়ালিকা

     সুকান্ত ভট্টাচার্য

এক
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে
লিখি কথা।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার
স্বাধীনতা।


দুই
সকালে বিকালে মনের খেয়ালে

মা - কাজী নজরুল ইসলাম

        মা

কাজী নজরুল ইসলাম

যেখানেতে দেখি যাহা
মা-এর মতন আহা

জীবনের হিসাব - সুকুমার রায়

Sukumar Ray.jpg


                 জীবনের হিসাব
                   সুকুমার রায়

বিদ্যে বোঝাই বাবু মশাই চড়ি শখের বোটে
মাঝিরে কন, "বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে?
চাঁদটা কেন বাড়ে কমে? জোয়ার কেন আসে?"

গল্প বলা - সুকুমার রায়

                                                             Sukumar Roy

                                                                   গল্প বলা

                                                                     সুকুমার রায়

“এক যে রাজা”–”থাম্ না দাদা, রাজা নয় সে, রাজ পেয়াদা৷” “তার যে মাতুল”–”মাতুল কি সে?— সবাই জানে সে তার পিশে”

সিঁড়ি - সুকান্ত ভট্টাচার্য

      সিঁড়ি

সুকান্ত ভট্টাচার্য

আমরা সিঁড়ি,
তোমরা আমাদের মাড়িয়ে

অধম ও উত্তম - সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

 Satyendranath Datta

অধম ও উত্তম

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

কুকুর আসিয়া এমন কামড় 

দিল পথিকের পায়

The Deaf Bangalee Part - 4 বধির বাঙ্গালি - Part 4

আসসালা মুআলাইকুম!
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। কামনাও তাই। যেহেতেু ব্যস্ততার কারণে ইদানিং ফেইসবুকে আসতে পারিনি তাই অনেকের প্যৌস্টে ই লাইক এবং কমেন্ট করতে পারিনি। সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
অ্যানিউয়েই, যারা আমার লেখা

‘সবজান্তা বিসিএস সমাচার’,

‘উচ্চশিক্ষিত মাথামোটা সমীপে’,

‘ঘর জামাই’,

‘Learn and Let Me Learn’,

‘গোড়ায় গলদ’,

‘সিলেটি
OC / DC’

ভুল জানার চেয়ে ভুলের মধ্যে বাস করাটা কী বড়
অপরাধ নয়?

‘The Deaf Bangalee-বধির বাঙ্গালি’ 
শিরোনামে লিখাগুলো পড়েননি তাদের প্রতি  ‘The Deaf Bangalee-বধির বাঙ্গালির’  এই অংশটুকু পড়ার আহবান রইল।

সাম্প্রতিক বাংলার প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সদ্য প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদ স্য(র) এনট্রফি বিয়য়ের উপর Phd করতে যখন (অ্যা)মেরিকার North Dakota State University তে যান তখন চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী তাঁহাকে উক্ত বিষয়ের উপর Undergraduate ছাত্রদের পাঠদান করতে হয়। একদিন তিনি এন্ট্রফির একটি অংশ বিশেষ মনোযোগের সাথে বেশ সময় নিয়ে বুঝাচ্ছেন। ( প্রিয় পাঠক, বলা বাহুল্য এখানে কোন বাঙ্গালি ছাত্র ছিল না। তাই বাংলায় পাঠদান করার প্রশ্নই আসেনা। এখানে ইংরেজি ছাড়া যোগাযোগের অন্য কোন মাধ্যম নেই।)  তো অনেক্ষণ ধরে নির্ধারিত বিষয়ের উপর ক্লাস নেওয়ার পর একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে বিনীতভাবে হুমায়ুন আহমেদ স্য((র) কে বলল,  “স্য((র) যে বিষয়টি নিয়ে আপনি এতক্ষণ আলোচনা করলেন, আই মীন যে বিষয়টি আপনি এতক্ষণ  আমাদেরকে বুঝালেন অনূগ্রহ করে এই বিষয়টি কী আমাদেরকে আবারও ইংরেজিতে বলবেন।” একথা শুনে  ক্লাসে হাসির

উদ্যোগ - সুকান্ত ভট্টাচার্য

            উদ্যোগ

      সুকান্ত ভট্টাচার্য

বন্ধু, তোমার ছাড়ো উদ্বেগ, সুতীক্ষ্ণকরো চিত্ত,
বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত।

মাগো, ওরা বলে - আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

https://priyokobita.files.wordpress.com/2011/05/19_03_2011___front___01_965730111.jpg

মাগো, ওরা বলে

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

‘কুমড়ো ফুলে ফুলে
নুয়ে পড়েছে লতাটা,
সজনে ডাঁটায়
ভরে গেছে গাছটা,
আর, আমি ডালের বড়ি
শুকিয়ে রেখেছি—
খোকা তুই কবে আসবি!

সুরা নাস – কাব্য-আমপারা - কাজী নজরুল ইসলাম


    সুরা নাস – 

  কাব্য-আমপারা

কাজী নজরুল ইসলাম

(শুরু করিলাম) ল’য়ে নাম আল্লার,

সুরা ইখলাস্ - কাব্য-আমপারা - কাজী নজরুল ইসলাম



সুরা ইখলাস্

  কাব্য-আমপারা

কাজী নজরুল ইসলাম

(শুরু করিলাম) ল’য়ে নাম আল্লার, 
করুণা ও দয়া যাঁর অশেষ অপার।

সুরা ফাতেহা কাব্য-আমপারা - কাজী নজরুল ইসলাম

সুরা ফাতেহা

   কাব্য-আমপারা

কাজী নজরুল ইসলাম

(শুরু করিলাম) ল’য়ে নাম আল্লার
করুণা ও দয়া যাঁর অশেষ অপার।

এই তো হলো মা যার হয় না তুলনা……..

এক ভদ্র মহিলা পাসপোর্ট অফিসে এসেছেন পাসপোর্ট করাতে।
অফিসার জানতে চাইলেন- আপনার পেশা কি?
মহিলা বললেন, আমি একজন মা।
আসলে ,শুধু মা তো কোনো পেশা হতে পারেনা।
যাক, আমি লিখে দিচ্ছি আপনি একজন গৃহিণি।
মহিলা খুব খুশী হলেন। পাসপোর্টের কাজ কোনো ঝামেলা ছাড়াই শেষ হলো। মহিলা সন্তানের চিকিৎসা নিতে বিদেশ গেলেন। সন্তান সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসলো।

অনেকদিন পরে, মহিলা দেখলেন পাসপোর্টটা নবায়ন করা দরকার। যেকোনো সময় কাজে লাগতে পারে। আবার পাসপোর্ট অফিসে আসলেন। দেখেন আগের সেই অফিসার নেই। খুব , দাম্ভিক,ভারিক্কি, রুক্ষ মেজাজের এক লোক বসে আছেন।

যথারীতি ফরম পূরণ করতে গিয়ে অফিসার জানতে চাইলেন-
আপনার পেশা কি?
মহিলা কিছু একটা বলতে গিয়ে ও একবার থেমে গিয়ে বললেন-
আমি একজন গবেষক। নানারকম চ্যালেন্জিং প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করি। শিশুর মানসিক এবং শারিরীক বিকাশ সাধন পর্যবেক্ষণ করে,সে অনুযায়ি পরিকল্পণা প্রণয়ন করি। বয়স্কদের নিবিড় পরিচর্যার দিকে খেয়াল রাখি। সুস্থ পরিবার ও সমাজ বিনির্মানে নিরলস শ্রম দিয়ে রাষ্ট্রের কাঠামোগত ভীত মজবুত করি। প্রতিটি মুহুর্তেই আমাকে নানারকমের চ্যালেন্জের ভিতর দিয়ে যেতে হয় এবং অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তা মোকাবিলা করতে হয়। কারণ,আমার সামান্য ভুলের জন্য যে বিশাল ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

মহিলার কথা শুনে অফিসার একটু নড়ে চড়ে বসলেন। মহিলার দিকে এবার যেন একটু শ্রদ্ধা আর বিশেষ নজরে থাকালেন। এবার অফিসার জানতে চাইলেন-
আসলে আপনার মূল পেশাটি কি? যদি আরেকটু বিশদভাবে বলেন। লোকটির আগ্রহ এবার বেড়ে গেলো।

আসলে, পৃথিবীর গুনি জনেরা বলেন , আমার প্রকল্পের কাজ এতো বেশি দূরহ আর কষ্ট সাধ্যযে, দিনের পর দিন আঙুলের নখ দিয়ে সুবিশাল একটি দীঘী খনন করা নাকি তার চেয়ে অনেক সহজ।

আমার রিসার্চ প্রজেক্টতো আসলে অনেকদিন ধরেই চলছে। সার্বক্ষণিক আমাকে ল্যাবরেটরি এবং ল্যাবরেটরীর বাইরে ও কাজ করতে হয়। আহার,নিদ্রা করার ও আমার ঠিক সময় নেই। সবসময় আমাকে কাজের প্রতি সজাগ থাকতে হয়। দুজন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অধীনে মূলত আমার প্রকল্পের কাজ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চলছে।

মহিলা মনে মনে বলেন,দুজনের কাউকে অবশ্য সরাসরি দেখা যায়না।
(একজন হলেন, আমার স্রষ্টা আরেকজন হলো বিবেক)

আমার নিরলস কাজের স্বীক্বতি স্বরুপ আমি তিনবার স্বর্ণপদকে ভূষিত হয়েছি। (মহিলার তিন জন কন্যা সন্তান ছিল।)

এখন আমি সমাজবিজ্ঞান,স্বাস্থ্যবিজ্ঞান আর পারিবারিক বিজ্ঞান এ তিনটি ক্ষেত্রেই একসাথে কাজ করছি, যা পৃথিবীর সবচেয়ে জটিলতম প্রকল্পের বিষয় বলা যায়। প্রকল্পের চ্যালেন্জ হিসাবে একটি অটিস্টিক শিশুর পরিচর্যা করে মানুষ হিসাবে গড়ে তুলছি, প্রতিটি মুহুর্তের জন্য।

‘উষর মুরুর ধূসর বুকে, ছোট যদি শহর গড়ো,
একটি ছেলে মানুষ করা ইহার চেয়ে অনেক বড়।‘

অফিসার মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে মহিলার কথা শুনেন। এ যেন এক বিস্ময়কর মহিলা। প্রথম দেখেতো একেবারে পাত্তাই দিতে মনে হয়নি।

প্রতিদিন আমাকে ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা আবার কোনো কোনো দিন আমাকে ২৪ ঘন্টাই আমার ল্যাবে কাজ করতে হয়। কাজে এতো বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় যে, কবে যে শেষবার ভালো করে ঘুমিয়ে ছিলাম কোনো রাতে,তাও আমার মনে নেই। অনেক সময় নিজের আহারের কথা ভুলে যাই।আবার অনেক সময় মনে থাকলেও সবার মুখে অন্ন তুলে না দিয়ে খাওয়ার ফুরসত হয়না । অথবা সবাইকে না খাইয়ে নিজে খেলে পরিতৃপ্তি পাই না। পৃথিবীর সব পেশাতেই কাজের পর ছুটি বলে যে কথাটি আছে আমার পেশাতে সেটা একেবারেই নেই। ২৪ ঘন্টাই আমার অন কল ডিউটি।

এরপর আমার আরো দুটি প্রকল্প আছে । একটা হলো বয়স্ক শিশুদের ক্লিনিক। যা আমাকে নিবিড়ভাবে পরিচর্যা করতে হয়।সেখানেও প্রতিমুহুর্তেও শ্রম দিতে হয়। আমার নিরলস কাজের আর গবেষণার কোনো শেষ নেই ।

আপনার হয়তোবা জানতে ইচ্ছে করছে, এ চ্যালেন্জিং প্রকল্প পরিচালনায় আমার বেতন কেমন হতে পারে।
আমার বেতন ভাতা হলো- পরিবারের সবার মুখে হাসি আর পারিবারিক প্রশান্তি। এর চেয়ে বড় আর বড় প্রাপ্তি যে কিছুই নেই।

এবার আমি বলি, আমার পেশা কি?
আমি একজন মা। এই পৃথিবীর অতিসাধারণ এক মা।

মহিলার কথা শুনে অফিসারের চোখ জলে ভরে আসে। অফিসার ধীরে ধীরে চেয়ার ছেড়ে ওঠেন। পরম মমতায় তিনি পা ছুঁয়ে মহিলাকে সালাম করেন। নিজের মায়ের মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে।তিনি খুব সুন্দর করে ফর্মের সব কাজ শেষ করে, মহিলাকে সালাম দিয়ে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেন। তারপর নিজের অফিস রুমে এসে -একটি ধূসর হয়ে যাওয়া ছবি বের করে -ছবিটির দিকে অপলক চেয়ে থাকেন। নিজের অজান্তেই চোখের জল টপ টপ করে ছবিটির ওপর পড়তে থাকে ।

সত্যিই কত সহজেই পৃথিবীর সব মা নিঃস্বার্থ ভাবে প্রতিটি পরিবারে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।মাতৃত্বের গবেষানাগারে প্রতিনিয়ত তিলেতিলে গড়ে তুলছেন একেকটি মানবিক নক্ষত্র।

(Collected from somewhere in blog)