Friday, July 27, 2012

“ভৈঁরো-কাওয়ালী“ - নজরুল গীতিকা

ভৈঁরো-কাওয়ালী "

 পিও     শারাব পিও !
তোরে    দীর্ঘ সে কাল গোরে হবে ঘুমাতে।
সে        তিমির-পুরে
তোর     বন্ধু স্বজন প্রিয়া রবেনা সাথে ।।
পিও      নিমেষ-মধু !
পুনঃ      গাহিবনা কা’ল আজি যে গীত গাহি।

Thursday, July 26, 2012

Breast cancer cells can turn off key immune response

Breast cancer cells can destroy a powerful immune response in the body and allow the disease to spread to the patient's bones, researchers in Australia reported on Monday. They also experimented with two ways to reinstate this immune response to help patients fight breast cancer, but it will take more tests and several more years for these therapies to become routine treatments, they said. "We have identified a way that breast cancer cells can turn off the immune system, allowing them to spread to distant parts such as the bone," said Belinda Parker, a research fellow at the Peter MacCallum Cancer Centre in Melbourne, who led the study. "By understanding how this occurs, we hope to use existing and new therapies to restore this immune function and prevent the spread of cancer," she said by telephone. The study was published on Monday in the peer-reviewed journal Nature Medicine. In 2010, 1.5 million people were diagnosed with breast cancer, the top cancer in women around the world. Although it kills many women in developing countries, 89 percent of women diagnosed with breast cancer in western countries are still alive five years after diagnosis thanks to detection tests and treatment. Using tissue samples from breast cancer patients and experiments with mice, Parker and colleagues found that a gene called IRF7 is switched off in patients whose cancer spreads to other parts of the body. IRF7 controls the production of interferon, an important type of immune protein that fights viruses and bacteria apart from tumour cells "Usually when breast cancer cells leave the breast and travel in the bloodstream and into bone marrow, the release of interferons by IRF7 will cause the immune system to recognise those cells and eliminate them," Parker said. "But by losing IRF7, it prevents the stimulation of immune responses and allows those cells to hide from being recognised (and later spread)." Parker and her team tried two ways to revive this immune response in mice experiments and both appeared to work. "We put the gene back into cancer cells so it can't switch it (IRF7) off. We allowed the immune pathway to be stimulated and the cancer cells did not spread to the bone," Parker said. "The other way is to treat the animals with interferon, which is available for treating other diseases, like hepatitis. That also prevented the spread of cancer to the bone." Parker said they will study how best to use these two methods on patients in the next few years and plan to have a clinical trial in two to three years.

Wednesday, July 25, 2012

Syeda Rizwana Hasan has won the prestigious Ramon Magsaysay Award 2012 for her campaign for environment justice.


Bangladesh Environment Lawyers Association's (BELA) Chief Executive Syeda Rizwana Hasan has won the prestigious Ramon Magsaysay Award 2012 for her campaign for environment justice.

"She is being recognized for her uncompromising courage and impassioned leadership in a campaign of judicial activism in Bangladesh that affirms the people's right to a good environment as nothing less than their right to dignity and life," the Board of Trustees of the Ramon

Monday, July 23, 2012

পাঞ্জেরি - ফররুখ আহমেদ

                                                        

                                                                     www.fb.com/jrliton77   

                                                                        পাঞ্জেরি 

                                                                ফররুখ আহমেদ

                                                         রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি? 
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে? 

Saturday, July 21, 2012

স্বাধীনতার সুখ - রজনীকান্ত সেন

      স্বাধীনতার সুখ 
     রজনীকান্ত সেন

বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোধ, বৃষ্টির, ঝড়ে।”
বাবুই হাসিয়া কহে, “সন্দেহ কি তাই ?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”
                                     www.fb.com/jrliton77
        

Friday, July 20, 2012

নক্সী কাঁথার মাঠ - জসীম উদ্দিন

                                                                 নক্সী কাঁথার মাঠ

                                                                     জসীম উদ্দিন

আজো এই গাঁও অঝোরে চাহিয়া ওই গাঁওটির পানে,
নীরবে বসিয়া কোন্ কথা যেন কহিতেছে কানে কানে |
মধ্যে অথই শুনো মাঠখানি ফাটলে ফাটলে ফাটি,
ফাগুনের রোদে শুকাইছে যেন কি ব্যথারে মূক মাটি!
নিঠুর চাষীরা বুক হতে তার ধানের বসনখানি,
কোন্ সে বিরল পল্লীর ঘরে নিয়ে গেছে হায় টানি !
বাতাসের পায়ে বাজেনা আজিকে ঝল মল মল গান,
মাঠের ধূলায় পাক খেয়ে পড়ে কত যেন হয় ম্লান!
সোনার সীতারে হরেছে রাবণ, পল্লীর পথ পরে,
মুঠি মুঠি ধানে গহনা তাহার পড়িয়াছে বুঝি ঝরে!
মাঠে মাঠে কাঁদে কলমীর লতা, কাঁদে মটরের ফুল,
এই একা মাঠে কি করিয়া তারা রাখিবেগো জাতি-কুল |
লাঙল আজিকে হয়েছে পাগল, কঠিন মাটিরে চিরে,
বুকখানি তার নাড়িয়া নাড়িয়া ঢেলারে ভাঙিবে শিরে |
তবু এই-গাঁও রহিয়াছে চেয়ে, ওই-গাঁওটির পানে,
কতদিন তারা এমনি কাটাবে কেবা তাহা আজ জানে |
মধ্যে লুটায় দিগন্ত-জোড়া নক্সী-কাঁথার মাঠ ;
সারা বুক ভরি কি কথা সে লিখি, নীরবে করিছে পাঠ!
এমন নাম ত শুনিনি মাঠের? যদি লাগে কারো ধাঁধাঁ,
যারে তারে তুমি শুধাইয়া নিও, নাই কোন এর বাঁধা |
সকলেই জানে সেই কোন্ কালে রূপা বলে এক চাষী,
ওই গাঁর এক মেয়ের প্রেমেতে গলায় পড়িল ফাঁসি |
বিয়েও তাদের হয়েছিল ভাই, কিন্তু কপাল-লেখা,
খন্ডাবে কেবা? দারুণ দুঃখ ভালে এঁকে গেল রেখা |
রূপা একদিন ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে গেল দূর দেশে,
তারি আশা-পথে চাহিয়া চাহিয়া বউটি মরিল শেষে |
মরিবার কালে বলে গিয়েছিল — তাহার নক্সী-কাঁথা,
কবরের গায়ে মেলে দেয় যেন বিরহিণী তার মাতা!
বহুদিন পরে গাঁয়ের লোকেরা গভীর রাতের কালে,
শুনিল কে যেন বাজাইছে বাঁশী বেদনার তালে তালে |
প্রভাতে সকলে দেখিল আসিয়া সেই কবরের গায়,
রোগ পাণ্ডডুর একটি বিদেশী মরিয়া রয়েছে হায়!
শিয়রের কাছে পড়ে আছে তার কখানা রঙীন শাড়ী,
রাঙা মেঘ বেয়ে দিবসের রবি যেন চলে গেছে বাড়ি!
সারা গায় তার জড়ায়ে রয়েছে সেই নক্সী-কাঁথা,—
আজও গাঁর লোকে বাঁশী বাজাইয়া গায় এ করুণ গাথা |
কেহ কেহ নাকি গভীর রাত্রে দেখেছে মাঠের পরে,—
মহা-শূণ্যেতে উড়িয়াছে কেবা নক্সী-কাথাটি ধরে ;
হাতে তার সেই বাঁশের বাঁশীটি বাজায় করুণ সুরে,
তারি ঢেউ লাগি এ-গাঁও ও-গাঁও গহন ব্যথায় ঝুরে |
সেই হতে গাঁর নামটি হয়েছে নক্সী-কাঁথার মাঠ,
ছেলে বুড়ো গাঁর সকলেই জানে ইহার করুণ পাঠ |

Thursday, July 19, 2012

প্রলয়োল্লাস - কাজী নজরুল ইসলাম



তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কাল-বোশেখীর ঝড়। তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!!
আসছে এবার অনাগত প্রলয়-নেশার নৃত্য পাগল, সিন্ধু পারের সিংহ-দ্বারে ধমক হেনে ভাঙল আগল! মৃত্যু-গহন অন্ধকুপে মহাকালের চণ্ড-রূপে— বজ্র-শিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ঙ্কর! ওরে ঐ হাসছে ভয়ঙ্কর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!!
                        অগ্নিবিণা
                                   fb.com/jrliton77

 

Blank

h

Monday, July 16, 2012

দেশের বাণী - কায়কোবাদ

www.fb.com/jrliton77

দেশের বাণী

কায়কোবাদ

কে আর বুঝিবে হায় এ দেশের বাণী?

এ দেশের লোক যারা,

সকলইতো গেছে মারা,

আছে শুধু কতগুলি শৃগাল শকুনি!

সে কথা ভাবিতে হায়

Wednesday, July 04, 2012

Where r u Ilias Ali?

ইলিয়াস আলী আপনি কোথায়?

শা কি ল ও য়া হে দ
চার মাস পার হয়ে গেল। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী রাতে বাড়ি ফেরার পথে বনানীতে নিজ বাড়ির খুব কাছ থেকে

Sunday, July 01, 2012

খুব চমৎকার একটি শিক্ষণীয় গল্প

অনেক অনেক দিন আগে, চীন দেশে লিউ নামে এক মেয়ে বিয়ে করে বাস করতে লাগল তার স্বামী এবং শ্বাশুড়ীর সাথে।

খুব অল্পসময়েই লিউ দেখল যে তার শ্বাশুড়ীর সাথে বাস করাটা প্রায় অসম্ভব।
ক্রমশ তাদের মধ্যে মতনক্য আর ঝগড়া শুরু হয়। শাশুরি প্রায়শ লিউকে কটাক্ষ করতো বিভিন্ন কাজে।

পরিস্থিতি সবচাইতে খারাপ করল যে দিকটা সেটা হল, চাইনিজ পরম্পরা অনুয়ায়ী লিউ তার শ্বাশুড়ীকে সবসময়েই মাথা নুইয়ে সন্মান জানাতে হতো এবং শ্বাশুড়ীর সমস্ত আদেশ মেনে নিতে হতো।

অনেক দিন এবং সপ্তাহ পার হয়ে গেল কিন্তু তাদের বিবাদ না কমে দিন দিন বাড়তেই থাকল।

এ সমস্ত ঘটনা ক্রমেই লিউর স্বামীকেকে হতাশাগ্রস্থ করে তুলল।

লিউ কোনভাবেই তার শ্বাশুড়ীর এই খারাপ আচরন বরদাস্ত করতে পারছিলনা, এবং সে সিদ্ধান্ত নিল যে কিছু একটা করতেই হবে।

একদিন লিউ তার বাবার এক বন্ধু মি: হং এর কাছে গেল যার একটা ফার্মেসি রয়েছে। লিউ তাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বললো এবং তার কাছে কিছু বিষ চাইল যা দিয়ে তার শ্বাশুড়ীকে মেরে ফেলে এ সমস্ত সমস্যার সমাধান করা যায়।

মি: হং কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন," লিউ, আমি তোমাকে সাহায্য করবো তোমার সমস্যার সমাধান করবার জন্য, কিন্তু আমি তোমাকে যা যা বলবো তাই তোমাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।"

লিউ খুশিমনে তার কথায় রাজী হয়ে গেলো।

মি: হং পেছনের রুমে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে এলেন একটা ঔষধের প্যাকেট নিয়ে।

তিনি লিউকে বললেন," তোমার শ্বাশুড়ীকে মেরে ফেলবার জন্য এমন কোন বিষ দেয়া উচিৎ হবেনা যা তাৎনিক ভাবে তাকে মেরে ফেলবে। এতে লোকের সন্দেহ তোমার উপর পরবে।

তাই আমি তোমাকে এমন একটা ঔষধ দিচ্ছি যা তোমার শ্বাশুড়ীর শরীরে ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া করবে। প্রতিদিন তার খাবারের সাথে এটা অল্প করে মিশিয়ে দিবে। এটার কার্যকারীতা শুরু হতে কয়েকমাস লেগে যেতে পারে, আর তাই তুমি তোমার শ্বাশুড়ীর সাথে এ কদিন ভাল ব্যবহার করতে থাক যাতে লোকের সন্দেহ কোনক্রমেই তোমার উপর না পরে।

কখনই তার সাথে তর্ক করবেনা, তার প্রতিটি ইচ্ছা পুরণ করবে এবং তার সাথে রানীর মতো আচরণ করবে।"

লিউ খুবই খুশী হল।সে মি: হংকে ধন্যবাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এল তার শ্বাশুরীকে হত্যা করবার কাজ শুরু করবার জন্য।

সপ্তাহ পার হয়ে মাস পার হয়ে গেল, লিউ তার ঔষধটা শ্বাশুড়ীকে নিয়ম করে খাওয়াতে লাগল।

সে সবার সন্দেহের উর্দ্ধে থাকবার জন্য মি: হং এর উপদেশও অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে লাগলো। সে তার বাজে রাগকে প্রশমিত করলো, তার শ্বাশুড়ীর সমস্ত আদেশ মাথা পেতে পালন করতো এবং তার সাথে আচরণ করত তার নিজের মায়ের মতই।

ছয়মাস পর পুরো ঘরের দৃশ্যপট পাল্টে গেল।

লিউ তার রাগকে এতটাই দমন করা শিখে গেল যে, সে আর তেমন করে উত্তেজিতই হতে পারত না।

তার সাথে তার শ্বাশুড়ীর এই ছয়মাসে কোন তর্কই বাধল না, আর এখন লিলি তার শ্বাশুড়ীর সাথে অনেক বেশী ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠল।

লিউর প্রতি তার শ্বাশুড়ীর আচরণেরও পরিবর্তন হল, এবং তিনি লিউকে তার মেয়ের মতই ভালবাসতে শুরু করলেন।

তিনি তার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদেরকে বলতে লাগলেন যে, পৃথিবীতে যত বৌমা আছে তার মধ্যে লিউ হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট।

লিউ এবং তার শ্বাশুড়ী, মেয়ে এবং মা এর মতই বাস করতে লাগল।

সবকিছু দেখে লিউর হাসবেন্ডও খুব খুশি হয়ে উঠল।

একদিন লিউ আবারও মি: হং এর কাছে সাহায্যের জন্য আসল। সে মি: হংকে বলল, " প্রিয় মি: হং, আপনার বাকি ঔষধ আপনি ফিরিয়ে নিন এবং যতটুকু ক্ষতি আমার শ্বাশুড়ীর হয়েছে তা কাটাবার কোন ঔষধ দিন। তার মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং এখন তাকে আমি আমার মায়ের মতই ভালবাসি।"
মি: হং হেসে সামান্য মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, " লিউ, ভয় পাবার কোন কারন নেই, আমি তোমাকে কোন বিষ দেইনি। যেটা দিয়েছিলাম সেটা ছিল একপ্রকার ভিটামিন। যা তোমার শ্বাশুড়ীর স্বাস্থ্য ভাল হতে সাহায্য করেছে।

একমাত্র বিষ ছিল তোমার মনে এবং তার প্রতি তোমার আচরণে, যেটা তুমি পুরোপুরি ধুয়ে ফেলেছ তাকে ভালবেসে।"

মনে রাখবেন," যে যাকে যতটা ভালবাসা দেবে, প্রতিদানে ততটা ভালবাসাই পাবে। আপনি যেমন ব্যাবহার করবেন, তার থেকে ভালো ব্যাবহার আপনি আশা করতে পারেন কি?? ভালো ব্যাবহারই মানুষকে সুন্দর ও সুখী পথের নির্দেশনা দেয়"