Saturday, September 29, 2012
“ইনোসেন্স অব মুসলিমস” – মত প্রকাশের স্বাধীনতা বনাম সাম্প্রতিক সহিংসতা
হঠাৎ করেই উত্তাল হয়ে উঠল বিশ্ব। সহিংস-সংঘর্ষে আমেরিকান রাষ্ট্রদুত সহ এপর্যন্ত অনেকে নির্মমভাবে প্রান হারিয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছে ইয়েমেন, মিশর, তিউনিশিয়া এবং সুদানে অবস্হিত মার্কিন দুতাবাস। ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে মুসলিমবিশ্ব। এ আগুন জালিয়েছে সম্প্রতি YouTube এ ছেড়ে দেওয়া মুভি ‘ইননোসেন্স অব ইসলামের’ একটি বিগ্ঞাপনচিত্র। যেখানে হযরত মুহাম্মদ(স:) কে অত্যন্ত বিকৃত এবং জঘন্য ভাবে উপস্হাপন করা হয়েছে।
মত্ প্রকাশের অবাদ স্বাধীনতা সবার আছে। পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষের রাজনৈতিক বা ধর্মীয় মতাদর্শ এক না। নিজ নিজ ধর্ম, দর্শন বা মতবাদের যৌক্তিকতা ভিন্নমতাবলম্বীদের নিকট তুলে ধরাতেও দোষ নেই। যৌক্তক মনে না হলে প্রচারিত মত প্রত্যাখ্যান করার অধিকার সংরক্ষন করেন যে কোন ব্যক্তি। কিন্তু অপরের বিশ্বাস এবং অনুভুতিতে ঘৃন্য উপায়ে আঘাত করার হীন চেষ্টা মানে কি মত প্রকাশের স্বাধীনাতা? মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে এ ধরনের অপচেষ্টা মৌলিক মানবীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী এবং যে কোন মাপকাঠিতে অগ্রহনযোগ্য। সে যে ধর্ম বা মতই হোক না কেন।
ইসলামকে অবমানা করার অপচেষ্টা নতুন নয়। মতবাদ, ধর্ম, দর্শন বা জীবন ব্যাবস্হা হিসেবে ইসলামকে সমসাময়িক কালে অসংখ্যবার গ্ঞান পাপীরা ব্যর্থ আক্রমন করেছে। তথাকথিত বুদ্ধিজিবীরা খন্ডিত দৃষ্টিভংগী এবং দূষিত বুদ্ধিবৃত্তি দিয়ে বারবার ইসলামকে চ্যালেন্জ করেছেন। সাম্প্রতিক কালে সালমান রুশদী ১৯৮৮ সালে “Satanic Verses” লিখে আল-কোরানকে অবমাননা করেছেন। ডাচ চলচিত্র নির্মাতা Van Gogh ২০০৪ সালে ১০ মিনিটের স্বল্প দৈর্ঘ ছবি “Submission” এ অভিনেত্রির শরীরে কোরানের আয়াত লিখে নারী বিষয়ক কোরানের দৃষ্টিভংগিকে উপহাস করেছেন। ২০০৫ সালে ডেনিস কার্টুনিষ্ট Kurt Westergaard মুহাম্মদ(স:)কে নিয়ে ব্যাংগ চিত্র একেঁছেন। ২০১০সালে ফ্লোরিড়ার Terry Johns প্রকাশ্যেই কোরান পোড়ানোর ঘোষনা দিয়েছেন। বিতর্কিত এসব ব্যক্তি বর্গ নাম পরিচয় দিয়েই তাদের বক্তব্য এবং ঘৃনা ছড়িয়েছিলেন তাদের কর্মকান্ডে।। যা সমসাময়িক কালে ব্যাপক ভাবে সমালোচিত হয়েছিল এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরী করেছিল।
কিন্তু “Innocence of Islam” এর ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন মাত্রা দেখা যায়। প্রধান পরিকল্পক আসল নাম পরিচয় দিতে নারাজ। কি তার উদ্দ্যেশ্য তাও পরিষ্কার নয়। ১৪ মিনিটের বিগ্ঞাপনটি পর্যালোচনা করলে অন্তত এটুকু বোঝা যায় যে মুভিতে মোহাম্মদ(স:)কে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করার মতো কোন বিষয়বস্তু নেই। মনে হয় নির্মাতা সে চেষ্টাটিও করেননি। বরং ধর্মীয় মৌলবাদকে কে উত্ত্যক্ত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছেন অশ্লীল এবং অশ্রাব্য উপায়ে। প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তা হয়ত নির্মাতা ভাল মতোই জানতেন। তাই নির্মাতা আমেরিকার কাঁধে জোয়াল তুলে দিয়ে সময়মতো আত্মগোপনে চলে গেলেন সুপরিকল্পিতভাবেই।
মুভিতে অংশ নেওয়া শতাধিক শিল্পী-কলাকুশলী কেউ নির্মাতার গোপন দূরভিসন্ধি টের পাননি। তারা জানতো “Desert Warrior” নামে একটা ফিল্মে অভিনয় করেছেন যেখানে ২০০০ বছর পূর্বের মিশরীয় জীবনধারাকে তুলে ধরা হয়ছে। কিন্তু You Tube ছেড়ে দেওয়া মুভির বিগ্ঞাপনে দেখা গেল বদলে দেওয়া হয়েছে মূল Script। এরকম নির্দয় বিকৃতি দেখে হতবাক হয়ে যান শিল্পী-কলাকুশলীরাও। দু:খ প্রকাশ করে ৮০ জনের একটি দল CNN কে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন “ ছবির উদ্দেশ্যে এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমাদের সাথে চরমভাবে প্রতরনা করা হয়েছে”। বিগ্ঞাপন চিত্রটি দেখলে তাদের স্বীকারোক্তির সত্যতা স্পষ্ট বোঝা যায়। মূল সংলাপ পাল্টিয়ে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ডাবিং করা চরম বিকৃত সংলাপ। কেন এই প্রতারনা? কেন এই কূটকৌশল? পৃথিবীকে অশান্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র নয়তো? কারন ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের নগ্ন উস্কানি ছাড়া তেমন কোন বার্তা নেই এতে।
বিগ্ঞাপনটি ছেড়ে দেওয়ার সময় এবং প্রেক্ষাপটও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ৯/১১ এর ঘাত-প্রতিঘাতে আটকে যাওয়া পৃথিবী একটু দম নেবার ফুসরৎ খুজছিল। কাকে প্রেসিডেন্ট বানালে বেশি লাভ হবে সেই সমীকরন কষাতে ব্যাস্ত মার্কিনিরা। দুনিয়াজুড়ে জংগী জোশে প্রচন্ড ভাটার টান পড়েছে। লাদেনের মৃত্যুর পর আলকায়েদা এবং জাওয়াহিরিরা অনেকটা বেকারত্বে ভুগছেন। অদৃশ্য শক্তির সাথে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধে জড়িয়ে ক্লান্ত শ্রান্ত মার্কিনীরা ইরাক, আফগানিস্তানে লাভ ক্ষতির যোগ-বিয়োগে মগ্ন। বেনজামিন নেতানিয়াহু সহ অন্য ইসরায়েলি লবী গুলো শত চেষ্টা করেও এইমুহুর্তে ওবামাকে দিয়ে ইরান আক্রমন করে নতুন আরেকটি ফ্রন্ট খুলাতে পারেনি।
এরকম একটি প্রেক্ষাপটে আকস্মাৎ আমরিকাকে টেনে হিচড়ে আবার যুদ্ধের ময়দানে নিয়ে আসা হল। ধর্মীয় মৌলবাদের নিভু নিভু উনুনেও টাটকা ঘি ঢেলে দেওয়া হল। মুহুর্তের মধ্যেই বেজে উঠল রনডংকা। দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়লো সহিংসতা। নির্মমভাবে নিহত হলেন আমেরিকান কূটনীতিক সহ আরো অনেকে। মার্কিন রনতরী তেড়ে গেলো লিবিয়ার দিকে। অন্যদিকে ইয়েমেন এবং সুদানের মাটিতেও অবতরন করলো মেরিন সেনারা। হতাশা গ্রস্থ জংগীবাদ এবং আধিপত্যবাদী-সম্রাজ্যবাদী চেতনা আবার মুখোমুখি লড়াইয়র জন্য টগবগ করে ফুটছে।
এটাই কি কুখ্যাত নির্মাতা Sam Bacile এর(যদিও মুল পরিকল্পনাকারী কে তা নিয়ে নানান আলোচনা আছে লেখার সুবিধার্থে Sam Bacile নামটি ব্যাবহার করবো) চাওয়া ছিল? তা না হলে জুলাইয়ে ক্লিপটি Youtube এ প্রথমবারের মতো মুক্ত করে ক্ষান্ত হননি কেন তিনি? কি উদ্দ্যেশ্যে আরবীতে অনুবাদ করে ফিল্মটি ২য় বার ছাড়েন? যার ফলে দাবানলের মতো দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল মুসলিম বিশ্ব। এবার কি Sam Bacile অথবা তার ঘৃন্য দোসরদের রক্ত পিপাসা নিবৃত হল নাকি বাকী রইল? ঘৃন্য ষড়যন্ত্রকারীরা কি পুরো মুভিটাই ছড়িয়ে দিবে? নাকি নতুন ফন্দী-ফিকির আটবে? তা দেখতে আমাদেরকে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
কে এই Sam Bacile? ফেড়ারেল ড়িপার্টমেন্ট গ্রেফতার করেছে Nakoula Basseley Nakoula নামের একজন সন্দেহভাজনকে। ধারনা করা হচ্ছে এ ব্যক্তিই Sam Bacile ছদ্ম নামে ১৪ মিনিটের ফিল্মটি বানিয়েছেন। কিন্তু গ্রেফতার হওয়া Nakoula Basseley Nakoula অস্বীকার করে বলেছেন “আমি Sam Bacile নই, আমি শুধু ফিল্মের লজিষ্টিক বিষয়াদি দেখতাম”। সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সুত্র এবং বিভিন্ন বার্তা সংস্থা সমুহও প্রধান পরিকল্পককে নিশ্চিতভাবে সনাক্ত করতে পারেনি। কখনো Sam Bacile কখনো Nakoula Basseley Nakoula, কখনো মিশরীয় কপ্টিক খ্রীস্টান, আবার কখনো ইসরায়েলী বংশোদ্ভূত আমেরিকান রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হিসাবে নানান বিভ্রান্তিমুলক তথ্য মিলছে প্রতিদিন। তাই মূল পরিকল্পনাকারীর পরিচয় নিয়ে রহস্য রয়েই গেল। কোনদিন কি এ জট খুলবে? নাকি নতুন যুদ্ধের ডামাডোলে চাপা পড়ে যাবে Sam Bacile রহস্য?
Sam Bacile এর পরিচয় যাই হোক, বাস্তবতা হচ্ছে তার বানানো চলচিত্র বিশ্বজুড়ে তীব্র অসন্তোষ তৈরী করেছে। এখনো দেশে দেশে বিক্ষোভ- বিদ্রোহ চলছে। আর এসব বিক্ষোভ- বিদ্রোহে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন আমেরিকান ব্যক্তি বা বস্তু টার্গেটে পরিনত হচ্ছে?
মুভির নির্মাতার অবস্থান আমেরিকায়, শিল্পী-কলাকুশলীরা আমেরিকান, চিত্র ধারন করা হয়েছে লস এন্জেল্সে ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে অনেকে আমেরিকার আপাত সম্পৃক্ততা মেলাবার চেষ্টা করছেন ।কিন্তু বিষয়গুলো কি রাস্ট্র হিসাবে আমেরিকার সংশ্লিষ্টতা প্রমানে যথেষ্ট? কে কোথায় বসে একটি মুভি বানিয়ে ইন্টানেটে ছেড়ে দিল তা দেখার ফুসরৎ নিশ্চই আমেরিকার নেই। প্রতিদিন এরকম হাজার হাজার ঘটনা পর্যবেক্ষন করা কোন রাস্ট্রের পক্ষেই সম্ভবনা। তাহলে আমেরিকার দায়টা কী? বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে আমরিকার দায়টা অন্য জায়গায়। মুভিটি যখন সারা বিশ্বে ঝড় তুললো তখন তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ গ্রহন না করে হিলারির বললেন “ আমরা এধরনের চলচিত্র নির্মানের তীব্র নিন্দা জানাই কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই”। কারন আমেরিকান সংবিধানের ‘First Amendment’ একজন মার্কিন নাগরিককে মত প্রকাশের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা এবং সুরক্ষা দেয়। তিনি তা খর্ব করতে পারবেননা। আইনের প্রতি কী চমৎকার আনুগত্য! তাহলে উইকিলিকসের জুলিয়ান এ্যাসান্জের কপাল পুড়ল কেন? First Amendment এর আইনী ছাতা আ্যাসান্জের কপালেতো জুটলই না বরং ইকুয়েডর দুতাবাসের চিলেকোঠায় চড়েও নিস্তার পাচ্ছেনা বেচারা! কারন সে First Amendment এর অপব্যবহারকারী ।কিন্তু “ইননোসেন্স অব ইসলাম” এর ক্ষেত্রে তাদের করার কিছুই নেই? এ ক্ষেত্রে দৃষ্টিভংগিটা হলো “উইকিলিকস” মত প্রকাশের সেচ্ছাচারিতা কিন্তু “ইননোসেন্স অব ইসলাম” মত প্রকাশের স্বাধীনতা। কি দারুন দৃষ্টিভংগির বৈপরিত্য! First Amendment এর অপব্যবহারকারী জুলিয়ানকে শায়েস্তা করতে প্রয়োগ করা আইন-আদালত-গায়ের জোর সব যখন “ইননোসেন্স অব ইসলাম” ক্ষেত্রে একদম নি:শেষ হয়ে তখনই আমেরিকার দৃষ্টিভংগীর সততা নিয়ে সন্দেহ জাগে। প্রশ্ন হলো আমেরিকা কি সচেতন ভাবে কাজটি করছে?
অন্যদিকে গুগল কতৃপক্ষও ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার’ ধুয়া তোলে You Tube থেকে ভিডিউটি সরাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছেন হোয়াইট হাউজকে। Google Inc এর বক্তব্য “এই ভিডিওটি আমাদের ‘মত প্রকাশের’ নীতিমালার সাথে সংগতিপূর্ণ তাই আমরা এটি সরাবোনা”
এত মৃত্যু, এত ধ্বংসের পরেও ‘Freedom of Expression’ এর এই মিথ্যে বাহানা কেন? চলুন দেখি Google এর কি বলে নীতিমালা কি বলে? ‘You Tube Community Guide lines’ এর ২য় প্যারার ৬ষ্ঠ পয়েন্টে স্পষ্ট বলা আছে “We don’t permit hate speech which attacks as demeans a group based on race or ethnic origin, religion……………..”.
পরবর্তী তে ‘We Enforce These Guidelines’ প্যারায় বলছে “When they do we remove them”। তাহলে আপত্তিকর ভিডিওটি না সরিয়ে Google Inc কেন আইনের ফাক-ফোকর খুজে বেড়াচ্ছে? তাদের বিবেচনায় আপত্তিকর কিছুই নেই এখানে। কত ধংস্বলীলার পর তারা ভিডিওটি আপত্তিকর বিবেচনা করবে? Sam Bacile এর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং জংগীবাদের রসদ জোগানে ছাড়া এই ভিডিওটি You Tube এ রাখার আর কি কোন যৌক্তিকতা আছে? এটা কেমনতর মত প্রকাশের স্বাধীনতা?
আমেরিকান এবং You Tube কতৃপক্ষকে বুঝতে হবে এই বিক্ষোভ শুধু চরমপন্হীদের নয়। মোহাম্মদ (স:) শুধু মৌলবাদী বা জংগীবাদীদের নবী নন। তিনি আপামর সাধারন মুসলমানদের চেতনায় উজ্জীবিত আলোকিত নক্ষত্র। তাই এই গনবিক্ষোভকে চরমপন্থীদের কারসাজি বলে পাশ না কাটিয়ে বরং সঠিক কারন অনুসন্ধান করে মুলোৎপাটনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এই বিক্ষোভে শুধু আমেরিকাই ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছেনা, মুসলিম প্রধান দেশের সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা যারা জংগীবাদ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে প্রানপণ লড়াই করে আসছে তাদের মুভমেন্টও বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। অতএব অনতিবিলম্বে মুভিটি নিষিদ্ধ করে You Tube থেকে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। যত দেরি হবে দূবৃত্তরা এটাকে আমেরিকার বিরুদ্ধে জংগীবাদের আরেকটি রেফারেন্স হিসাবে প্রচার করবে। অতএব ইরানের সাথে লেনদেনের দায়ে Standared Charted এবং HSBC কে যেভাবে মিলিয়ন ড়লারের জরিমানা গুনতে বাধ্য করেছিল আমেরিকা, সেভাবে ধ্বংস ডেকে আনা মুভিটি You Tube থেকে সরাবার বুদ্ধিও বের করবে তারা। তা না হলে অস্থিতিশীল পরিস্থিততে আমেরিকার অবস্থান অস্পষ্টই রয়ে যাবে সবার কাছে। অন্যদিকে মুসলিম বিশ্বকে ধৈর্য এবং কৌশলের সাথে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। ভবিষ্যতেও অনুরুপ ষড়যন্ত্রমুলক ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বলে ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অগ্রযাত্রাকে এ্যাম্বুস করার সুযোগ দেওয়া কাম্য নয় Link
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment