Saturday, October 06, 2012

শিক্ষকের মর্যাদা সমুন্নত রাখার দাবি

শিক্ষাক্ষেত্রে সব ধরনের বৈষম্য দূর করে শিক্ষকদের আর্থসামজিক মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষাবিদেরা। প্রতিবছর সরকারিভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালনের আহ্বানও জানিয়েছেন তারা। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০১২’ উপলক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘আমার অধিকার’ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের প্রধান সম্বয়কারী অধ্যাপক কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য না কমে তা বরং বেড়েছে। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণে ক্রমবর্ধমান সামাজিক উপদ্রব হিসেবে দেখা দিয়েছে।” বৃহস্পতিবার নন-এমপিও শিক্ষকদের সমাবেশে পুলিশের ‘হামলার’ নিন্দা জানান তিনি। পাঠদানের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন কোনো কাজে শিক্ষকদের সম্পৃক্ত না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকার বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয় বর্হিভূত কাজের দায়িত্ব দিয়ে থাকে যা পাঠদান কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করে।” জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন, শিক্ষাবিদ এ এন রাশেদা, ‘আমার অধিকার’ এর চেয়ারপার্সন ড. নিলুফার বানুসহ বিভিন্ন শিক্ষক নেতারা সভায় বক্তব্য রাখেন। ‘শিক্ষার জন্য আমরা, শিক্ষকদের পাশে আমরা’ শীর্ষক এ সভায় বক্তারা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে অন্যান্য দাবির সাথে শিক্ষক প্রশিক্ষক পুল তৈরি, প্রাথমিক শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ ‘শিক্ষা আইন’ ও স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবিও জানান। শিক্ষকের মর্যাদা ও অধিকার উন্নয়নে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে বলেও মত দেন তারা।

No comments:

Post a Comment