স্বাধীনতা দিবস উদযাপন Celebrating Independence Day

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে,
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা;
আমারা তোমাদের ভুলব না।

এ কথা সত্যি যে বাংলার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল এক সাগর রক্তের বিনিময়ে। আমরা জানি বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস কত করুণ, কত বৈচিত্রময়, কত ঘটনাবহুল। স্বাধীনতার সেই রক্তঝরা দিনগুলো ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবে। প্রত্যেক দেশের মানুষ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে নিজেদের দেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করে থাকে। আর দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করার মাধ্যমেই স্বাধীনতার গুরুত্ব উপলব্দি হয়ে থাকে। তাই দেশের দিন পঞ্জিকাতে স্বাধীনতা দিবসটি সবচেইতে গুরুত্বপূর্ণ। 

সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার ১৯৪৭ সালে ভারতের শাসন ক্ষমতা হস্তান্তর করে এ দেশের জনগনের কাছে। ভারতবর্ষ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পাকিস্তান ও ভারত সৃষ্টি হয়। কিন্তু যে লক্ষ্যে পাকিস্তান শাসন কায়েম হয়েছিল পাকিস্তানি শাসক-গোষ্টির দুরভিসন্ধিমূলক আচরণে তা ব্যার্থ হয়ে যায়। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ট অধিবাসী- বাঙ্গালীদের ভাগ্যে জুটে লাঞ্চনা, বঞ্চনা, আর নির্যাতন। পাকিস্তানের সেই স্বার্থপর শাসকচক্রের একচোখা নীতির প্রতি বাঙালিদের কোনদিনই সমর্থন ছিল না।

 তদূপোরি, ১৯৫২ সালে শুরু হয় ভাষা আন্দোলন। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার বীজ উপ্ত হয়। ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০ সালে বারবার আন্দোলন করতে হয়েছে বাঙালিদেরক। এমনকি ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামিলীগ জয়লাভ করলেও পাকিস্তানিরা তাদের কাছে ক্ষমতা দেয়নি। ফলে, ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকৌর্স ময়দানে এক ভাষনে স্বাধীনতার ডাক দেন। ঐ ভাষণে তিনি বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম”। “তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।”

১৯৫২ থেকে ১৯৭১। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে গোটা বাঙালি জাতিকে অনেক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে, নির্যাতিত হতে হয়েছে তাদের নানাভাবে। তবুও তারা স্তব্ধ হয়ে যায়নি। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। ক্রমাগত বাঙলার স্বাধীনতার ইতিহাস এভাবে রচিত হতে হতে ১৯৭১ এ তার স্বরূপটি প্রকাশ পায়।                www.twitter.com/jrliton77

২৫শে মার্চের অন্ধকার রাত থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে ২৬শে মার্চ থেকে শুরু হয় যুদ্ধ । ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা,  মুক্তিুযুদ্ধের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন তৎকালীন মেজর জেনারেল (সেনাবাহিনী), প্রয়াত সফল রাষ্ট্রনায়ক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।  দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয় ।

প্রতি বছর ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। ঐদিন দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-প্রতিষ্টান, দোকানপাটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটির তাৎপর্য তোলে ধরে রেডিও, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঐদিন মুক্তিযোদ্ধা অথবা তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

পরিশেষে বলছি, স্বাধীনতা অর্জন করা যেমন কঠিন, এটা রক্ষা করা তার চেয়েও কঠিন। কষ্টার্জিত এই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলার জন্য এবং দেশের সকল মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমাদের সবাইকে আজ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার শপৎ গ্রহন করতে হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বাধীনতাকামী বাঙালিরা যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করেছিল বর্তমান এবং ভবিষ্যতে দেশের যে কোন প্রয়োজনে সেই চেতনাকে পালন করার অঙ্গিকারই হউক স্বাধীনতা দিবস পালনের মূলকথা।

In exchange for a sea of ​​blood,

Those who bring freedom of Bengal;

We will not forget you.

It is true that the independence of Bangladesh was achieved in exchange for a sea of ​​blood. We know the history of the independence of Bangladesh, was how dreadful! how varied! how incidental!  Those bloody days of independence will remain immortal in the pages of history.  People of every country observe their country's Independence Day with due dignity. And the importance of independence is realized only by keeping the day with due dignity. So the Independence Day is the most important in the country's calendar.

In 1947 the imperialist British government handed over power to the people of this country. Varotharsha/Hindustan (Pakistan+India) was being divided into two country, Pakistan and India; two independent sovereign states. But for the purpose of which Pakistani ruling was established, it was going in vain for the mischief-related behavior of the Pakistani ruling party. Lacuna, deprivation, and torture was tossed in the fate of the the majority of Pakistanis--Bengali. The Bangalis had no support for the unilateral policy of Pakistani selfish rule. In addition, language movement started in 1952. Through this language movement, the seed of independence is exhausted. 1952, 1954, 1966, 1969, 1970, the brave Bengalis have to done those movement repeatedly. Although the Awami League won the general elections of 1970, the Pakistanis did not hand over the power to them. As a result, on 7th March 1971, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman called for freedom in a speech at the historic Race Course ground in Dhaka. In this speech he said, "This struggle is the struggle for independence, this struggle is our struggle for freedom". "Be ready with whatever is available to you. Remember, when blood has to given, will given more, I will release the people of this country, Insha Allah. "

From 1952 to 1971. Throughout this long period, the entire Bengali has suffered many losses has been persecuted in many ways yet they did not stop and did not bow down to injustice. The history of Bengal’s independence has written gradually and published in this way in 1971.          www.twitter.com/jrliton77

The war started from 26th March, when the Pakistani invader started mass killing from the dark night of 25th March. On the first part of the day of 26th March, the then Major General (Army), the late successful President Ziaur Rahman declared the independence of Bangladesh on behalf of the Dreamer of the Independence, the Great Leader of the Liberation War, the thousand years Best Bengali of Bengal, the Founder of the Independant Bengal Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, After the long nine months of bloody war, on December 16, 1971, the victory was achieved.

Every year on 26th March Independence Day is celebrated. On that day national flag hoisting in all public and private offices-courts, educational institutions, trade establishments, shops and hoisting of different sports and cultural programs was organized. The significance of the day is to organize discussion sessions on radio, television and other places. On that day the reception was given to the freedom fighters or their family members and shown respect to the martyrs who laid down their lives on the great Liberation War.

We, It is difficult to achieve independence as it is harder to protect than it. To make this hard-earned freedom meaningful and to make all of the people of the country laugh, today we all have to take the oath to make unremitting efforts. How had the Libertarians of Bengal in the Liberation War worked simultaneously, influence with that consciousness, at present and in the future, the promise to celebrate that consciousness in any need of the country; it may the gist of the celebration of Independence Day.

                                          www.jrliton77.blogspot.com