প্রথমে
জায়নামাজে দাঁড়িয়ে জায়নামাযের দোয়া পড়তে হবে। এর পর নিয়ত করতে হবে।
জায়নামাযের
দোয়া :
اِنِّئْ وَجَّهْتُ
وَجْهِئَ لِلَّذِئْ
فَطَرَالسَّمَوَاتِ
وَالْاَرْضَ حَنِيْفًا
وَّمَا اَنَا
مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ
উচ্চারণ :
ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাসসামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানিফাও ওয়ামা
আনা মিনালমুশরিকীন।
অর্থ :
নিশ্চয়ই আমি তাঁর দিকে মুখ করলাম। যিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, বস্তুত আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।
Surely I turned to him. Who
created the heavens and the earth, and I am not of the idolaters.
নিয়্যত
: কোন নামায পড়ার ইচ্ছা করার নাম হলো নিয়্যত। আমরা যে নামায পড়বো সে সম্পর্কে মনে
মনে স্থির করার পরে আল্লাহু আকবার বলে তাকবীরে তাহরিমা বলে নামায শুরু করতে হবে।
যেমন-আমি ফযরের দুই রাকাত সুন্নাত নামায কেবলামুখী হয়ে পড়ছি। কেউ কেউ ইচ্ছা করলে
আরবীতেও নিয়্যত করতে পারেন।
দুই রাকা’আত নামায হলে رَكْعَتَئ “রাকা’আতাই”, তিন রাকা’আত নামায
হলে رَكْعَتَئ
‘রাকা’আতাই’-এর স্থলে ثلَاثَ رَكْعَاتِ‘‘ছালাছা রাক’আতি’’ এবং ৪
রাকাত হলে اَرْبَعْئَ رَكْعَاتِ “আরবা রাক‘আতি” বলতে হবে।
ফজর اَلْفَجْرِ – এর স্থলে যে ওয়াক্ত বা যে নামায পড়বে সে নাম বলতে হবে।
যেমন-যোহর হলে যোহর, আছর হলে আছর, মাগরেব হলে মাগরেব, এশা হলে এশা বলতে হবে। আর
নামায ফরয হলে সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি (رَسُوْل
ِاللهِ سُنَّةِ) এর স্থলে ফারদুল্লাহি (فَرْضُ اللهِ) ওয়াজিব হলে
ওয়াজিবুল্লাহি (وَاجٍبُ اللهِ) বলতে হবে।
(১) ফজরের নামাজ :
ক) ফজরের ২ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত
বাংলায় : নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, সুন্নাতু রাসুলিল্লা-হি তাআলা
মুতাও য়াজজিহান্ ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আক্ বার।
খ)ফজরের ২ রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত (বাংলায়) :
নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, ফারজুল্লা-হি তায়ালা
মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আক্ বার।
**২. ইমামের পিছনে
নামায পড়িতে হলে : / নাওয়াইতু
আন্ উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই
সালাতিল ফাজরি, ফারজুল্লা-হি
তায়ালা এক্তাদাইতু বিহা-যাল
ইমামি মুতা ওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আক্ বার। /