Friday, October 24, 2014

ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ০৪ পর্ব। কিভাবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন ?

                  কিভাবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন ?
                           ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পর্ব-০১
                                  www.fb.com/jrliton77
 ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা যে কি তা সুধী সমাজকে বলে বোঝাতে হবে না। গাড়ি বা বাইক চালানোর পূর্বশর্তই হলো একটি ভ্যালিড ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা। ড্রাইভিং লাইসেন্স শুধু একটি লাইসেন্সই নয়, একটি পরিচয়পত্রও বটে। ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা এখন স্মার্টনেসেরও অংশ। সঠিকভাবে চর্চা করে গাড়ি বা বাইকের লাইসেন্স অর্জন করলে সেই চালকের দূর্ঘটনায় পড়ার হার বহুলাংশে কমে যায়। তা না হলে আমরা পত্রিকা খুলে পড়তেই থাকবো বিভিন্ন জেলায় আজ সড়ক দূর্ঘটনায় .... জনের প্রানহানি আর ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব শুধু

'নিরাপদ সড়ক চাই' আন্দোলন করেই যাবেন। সচেতন মানুষ মাত্রই আশা করে থাকেন যে নিজের একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকুক। কিন্তু বিআরটিএ এর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার/কর্মচারীর কারণে সেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পোহাতে হয় দূর্ভোগ, হতে হয় হয়রান অথবা দিতে হয় অতিরিক্ত কিছু টাকা ঘুষ।
যারা এই পোষ্ট পড়বেন, তাদের অনেকেই হয়তো লাইসেন্সধারী। অনেকেই আশা করছেন লাইসেন্স করবেন। যারা লাইসেন্স করতে যাবেন বা করবেন, তাদের জন্যই এই পোষ্ট। সঠিক নিয়ম মেনে, ড্রাইভিং চর্চা করে লাইসেন্স পাবার চেষ্টা করুন। স্পিড মানি দেয়া বন্ধ করতে সচেষ্ট হউন। নিজে বাচুঁন, অন্যকে বাচঁতে দিন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির নিয়মঃ-
শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বে আপনাকে শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হবে। শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফরম http://www.brta.gov.bd থেকে ডাউনলোড করে নিন অথবা লাইসেন্সিং অথরিটি (সহকারী পরিচালক, বিআরটিএ) থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। তারপর ওই ফরম যথাযথভাবে পুরণ করে নিম্নোক্ত কাগজপত্র সহ সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সিং অথরিটির কাছে জমা দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ-
. বয়সের প্রমানপত্র: স্কুল সার্টিফিকেট / পাসপোর্ট / জন্মনিবন্ধন সনদ / জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি (যে কোন একটি) পেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ২০ বছর এবং অপেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ১৮ বছর হতে হবে।

. জাতীয়তার প্রমানপত্র: জাতীয় পরিচয় পত্র / পাসপোর্ট/ সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি। এক্ষেত্রে ১নং যা দিয়েছেন, ২নং সেটি না দেয়াই ভালো।

. ঠিকানার যাচাইপত্র: আবারও জাতীয় পরিচয়পত্র/ পাসপোর্ট/ পানি/ গ্যাস/ বিদ্যুৎ বিলের সত্যায়িত কপি। (আমার মতে, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র / পাসপোর্ট এর কপিই উপরোক্ত ৩টি কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এখানেই একজনের প্রয়োজনীয় সব তথ্য থাকে। তারপরও যাদের এসব নেই, তাদের জন্য বাকি অপশনগুলো।)
. রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক আবেদনকারীর কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ নির্ধারিত ফরমে মেডিক্যাল সাটিফিকেট জমা দিতে হবে। এই ফরম http://www.brta.gov.bd এই সাইট থেকে বা বিআরটিএ এর অফিসে পাওয়া যাবে।

. কপি স্ট্যাম্প সাইজের রঙ্গিন ছবি।

. নির্ধারিত ফি: পেশাদার - ৩৪৫/= টাকা, অপেশাদার - ৫১৮/= টাকা বিআরটি এ' নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ (ব্যাংক এর তালিকা http://www.brta.gov.bd এখানে পাওয়া যাবে। )

আবেদনপত্র, ফি জমা রশিদ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাইসেন্সিং অথরিটিতে জমা দেয়ার পর প্রার্থীকে বিআরটি এ' সংশ্লিষ্ট অফিস হতে তিন মাসের জন্য শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে। এই লাইসেন্সে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার স্থান, সময় তারিখ উল্লেখ থাকে। ভাইয়েরা- আপারা প্র্যাকটিস কইরেন, প্র্যাকটিসের কোন বিকল্প নাই। টাকা দিয়া হয়তো স্বল্প সময়ে, কম হয়রানিতে লাইসেন্স বের করতে পারবেন কিন্তু দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে পারবেন না। দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে প্রশিক্ষিত ড্রাইভার, সঠিক নিয়ম-কানুন তার প্রয়োগ, নিজের অন্যের জীবনের মূল্যবোধ দায়িত্ববোধ।
আগামী পর্বে লিখবো স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকুন।
                                        www.fb.com/jrliton77
                                       
                                                 ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পর্ব-০২
 কিভাবে পাবেন আপনার স্মার্ট-কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স? লিখিত পরীক্ষার কিছু প্রশ্নোত্তরসহ আপডেটেড।।

স্মাকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ-
প্রার্থীকে নিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্সে উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহনের পর কৃতকার্য হলে মৌখিক পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হলে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হবে। কৃতকার্য প্রার্থীকে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফরমে নিম্নোক্ত কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সিং অথরিটিতে আবেদন করতে হবে।

১. শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (যেখানে পরীক্ষা পাশের রেকর্ড আছে),
২. জাতীয় পরিচয় পত্র/ পাসপোর্ট/ জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি,
৩. পাসপোর্ট সাইজের তিন (৩)কপি রঙ্গিন ছবি,
৪. নির্ধারিত ফিঃ (পেশাদার-১৪৩৮/= টাকা ও অপেশাদার ২৩০০/= টাকা বিআরটিএ'র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ,
৫. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সে ক্ষেত্রে প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানার পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন।

উপরোক্ত কাগজপত্র ও প্রযোজ্য ফি সহ সংশ্লিস্ট অথরিটি বরাবর আবেদন দাখিলের পর আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহন করে প্রাস্বীকার রশিদ প্রদান করা হবে। প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ / এসএমএস এ যে তারিখ দেওয়া থাকে সে তারিখে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়।

(আমার ধারণায় কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট এর কপি জমা দিলে তো আর পুলিশি ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজন পরার কথা নয়। কারণ পাসপোর্টতো পুলিশি ভেরিফিকেশন এই হয়)। শুধু শুধু হয়রানি করা আর থানায় কিচু টাকা খাওয়ানোর জন্য এই নিয়ম চালু করেছে সংশ্লিষ্টরা)।
এরপরেও যদি পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগে তবে তো বলতে হয় তারা পাসপোর্ট আর জাতীয় পরিচয় পত্র বিশ্বাস করেন না।

এবার নিন লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নোত্তরঃ-

প্রশ্ন ০১ঃ মোটরযান কাকে বলে?

উত্তরঃ মোটরযান হলো কোন যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোন উৎস থেকে সরবাহ করা হয়ে থাকে।

প্রশ্ন ০২ঃ গাড়ি চালনাকালে কি কি কাগজপত্র সাথে রাখতে হয়?

উত্তরঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিম্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ব্লু-বুক), ট্যাক্স টোকেন, ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট (মোটর বাইকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়), রুটপারমিট (মোটরবাইক, চালক ব্যাতীত সর্বোচ্চ ৭ আসন বিশিষ্ট ব্যাক্তিগত/যাত্রীবাহী গাড়ীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।



প্রশ্ন ০৩ঃ গাড়ি চালনার আগে করনীয় কাজ কি কি?

উত্তরঃ ১)
গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না তা পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমান মতো নেওয়া।


২) রেডিয়েটর ও ব্যাটারীতে পানি আছে কি না তা পরীক্ষা করা।

৩) ব্যাটারী কানেকশন পরীক্ষা করা।

৪) লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেভেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমানমতো নেওয়া।

৫) মাষ্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া।

৬) গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, নাট-বোল্ট টাইট আছে কিনা তা অর্থাৎ সার্বিকভাবে মোটরযানটি ক্রুটিমুক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করা।

৭) ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।

৮) অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও ফার্ষ্ট এইড বক্স গাড়িতে রাখা। (এটা আমাদের দেশের গাড়িতে সাধারণত থাকে না। উন্নত দেশে মাষ্ট থাকতে হবে)।

৯) গাড়ির বাইরের এবং ভিতরের বাতির অবস্থা, চাকা (টায়ার কন্ডিশন, হাওয়া, নাট, এলাইনমেন্ট, রোটেশন, স্পেয়ার চাকা) পরীক্ষা করা।

১০) ইন্ডিকেটর বাতিসমুহ কাজ করে কিনা তা পরীক্ষা করা।

১০) ফুয়েল লাইনে কোন লিকেজ আছে কিনা তা পরীক্ষা করা।



প্রশ্ন ০৪ঃ সার্ভিসিং বলতে কি বোঝায় এবং গাড়ী সার্ভিসিং এ কি কি কাজ করা হয়?

উত্তরঃ
মোটরযানের ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর যে কাজগুলো করা হয়, তাকে সার্ভিসিং বলে। গাড়ী সার্ভিসিং এ করণীয় কাজ সমূহঃ-


ক) ইঞ্জিনের পুরাতন লুব অয়েল ফেলে দিয়ে নতুন লুবঅয়েল নেয়া। নতুন লুবঅয়েল দেয়ার আগে ফ্লাশিং অয়েল দ্বারা ফ্লাশ করা।

খ) ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরে পানি ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও ফ্লাশিং গান দিয়ে পরিস্কার করা, অতঃপর পরিস্কার পানি দিয়ে পূর্ণ করা।

গ) ভারী মোটরযানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রিজিং পয়েন্টে গ্রিজ গান দিয়ে গ্রিজ দেওয়া।

ঘ) গাড়ীর স্পেয়ার হুইলসহ প্রতিটি চাকাতে পরিমাণমতো হাওয়া দেওয়া।

ঙ) লুবঅয়েল ফিল্টার, ফুয়েল ফিল্টার ও এয়ার ক্লিনার পরিবর্তন করা।


প্রশ্ন ০৫ঃ রাস্তায় গাড়ির কাগজ-পত্র কে কে চেক করতে পারেন?

উত্তরঃ
সার্জেন্ট বা সাব ইন্সপেক্টরের নিচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তা, মোটরযান পরিদর্শকসহ বিআরটিএ এর কর্মকর্তা এবং মোবাইল কোর্টের কর্মকর্তা।



প্রশ্ন ০৬ঃ মোটর সাইকেলে হেলমেট পরিধান ও আরোহী বহন সম্পর্কে আইন কি?

উত্তর:
মোটর সাইকেলে চালক ব্যাতীত একজন আরোহী বহন করা যাবে। উভয়কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে।


                                        
                             ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পর্ব-০৩

প্রশ্ন ০৭ঃ সড়ক দূর্ঘটনার প্রধান কারণ কি কি?
উত্তরঃ অত্যাধিক আত্মবিশ্বাস, মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, অননুমোদিত ওভারটেকিং, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন।

প্রশ্ন ০৮ঃ গাড়ী দুর্ঘটনায় পতিত হলে চালকের করণীয় কি?
উত্তরঃ আহত ব্যাক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা, ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটস্থ থানায়
রিপোর্ট করাX(X((। (বাস্তবে এই কাজ জীবনেও করবেন না; বাংলাদেশের পাবলিক যে ক্ষ্যাপা প্রকৃতির। গাড়ি দুর্ঘটনা মানে চালকের দোষ মনে করেই দেয় মাইর;:((:P আগে পালান, তারপর অন্য কথা। আহতদের সুচিকিৎসা নিকটস্থ জনগনই করবে। কিন্তু রোগীর আপডেট খবর রাখবেন। রোগীকে বাঁচাতে শতভাগ সহায়তা করবেন।)

প্রশ্ন ০৯ঃ আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে গাড়ীর সর্বোচ্চ গতিসীমা কত?
উত্তরঃ হালকা মোটরযান ও বাইকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭০ মাইল/ঘন্টা, মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহি বাহনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল, মাঝারি বা ভারী মালবাহী যানের ক্ষেত্রে ৩০ মাইল/ঘন্টা।

প্রশ্ন ১০. মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কি?
উত্তরঃ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালানোর জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ পারমিটই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।

প্রশ্ন ১১. অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে?
উত্তরঃ যে লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক কারো বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে মোটর সাইকেল, হালকা মোটরযান এবং অন্যান্য মোটরযান (পরিবহনযান ব্যাতীত) চালাতে পারে, তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।

প্রশ্ন ১২ঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিন্ম বয়স কত?
উত্তরঃ পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২০ বছর, অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।

প্রশ্ন ১৩ঃ কোন কোন ব্যাক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির অযোগ্য?
উত্তরঃ মৃগীরোগী, উন্মাদ বা পাগল, রাতকানারোগী, কুষ্ঠরোগী, হৃদরোগী, অতিরিক্ত মদ্যপ ব্যাক্তি, বধির ব্যাক্তি এবং বাহু বা পা চলাচল নিয়ন্ত্রন করতে অসমর্থ এমন ব্যাক্তি।

প্রশ্ন ১৪ঃ হালকা মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ৬০০০ পাউন্ড বা ২৭২৭ কেজির বেশী নয়, তাকে হালকা মোটরযান বলে।

প্রশ্ন ১৫ঃ মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে মোটরযানের রেজিষ্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ২৭২৭ কেজির বেশী কিন্ত ৬৫৯০ কেজির বেশী নয়, তাকে মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান বলে।

প্রশ্ন ০১৬ঃ ভারী মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ যে মোটরযানের রেজিষ্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ৬৫৯০ কেজির বেশি তাকে ভারী মোটরযান বলে।

প্রশ্ন ০১৭ঃ প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান কাকে বলে?
উত্তরঃ ড্রাইভার ছাড়া ৮ জনের বেশী যাত্রী বহনের উপযোগী যে মোটরযান মালিকের পক্ষে তার ব্যবসা সম্পর্কিত কাজে এবং বিনা ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করা হয়, তাকে প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান বলে।

প্রশ্ন ০১৮ঃ ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন চিন্হ প্রধানতঃ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ট্রাফিক বা সতর্কতা চিন্হ প্রধানত তিন প্রকার। ১) বাধ্যতামুলকঃ যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়, ২) সতর্কতামুলকঃ যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয়, ৩) তথ্যমুলক, যা প্রধানত আয়তাক্ষেত্রাকার হয়।

প্রশ্ন ১৯ঃ লাল বৃত্তাকার সাইন কি নির্দেশনা প্রকাশ করে?
উত্তরঃ নিষেধ করা বা অবশ্য বর্জনীয় নির্দেশনা প্রকাশ করে।

প্রশ্ন ২০ঃ নীল বৃত্তাকার সাইন কি নির্দেশনা প্রকাশ করে?
উত্তরঃ করতে হবে বা অবশ্যপালনীয় নির্দেশনা প্রকাশ করে।

প্রশ্ন ২১ঃ লাল ত্রিভুজাকৃতির সাইন কি নির্দেশনা প্রকাশ করে?
উত্তরঃ সর্তক হওয়া নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

প্রশ্ন ২২ঃ নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ সাধারণ তথ্যমুলক সাইন।

প্রশ্ন ২৩ঃ সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ পথ নির্দেশক তথ্যমুলক সাইন, যা জাতীয় মহাসড়কে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ২৪ঃ কালো বর্ডারের সাদা রঙের আয়তক্ষেত কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ এটিও পথনির্দেশক তথ্যমুলক সাইন, যা মহাসড়ক ব্যাতীত অন্যান্য সড়কে ব্যবহৃত হয়।


প্রশ্ন ২৫ঃ ট্রাফিক সিগনাল বা সংকেত কত প্রকার ও কিকি?

উত্তরঃ তিন প্রকার। ক) বাহুর সংকেত, খ) আলোর সংকেত, গ) শব্দ সংকেত।



প্রশ্ন ২৬ঃ ট্রাফিক লাইট সিগনালের চক্র বা অনুক্রম কি কি?

উত্তরঃ লাল-সবুজ-হলুদ এবং পুনরায় লাল।



প্রশ্ন ২৭ঃ লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি কি নির্দেশনা প্রকাশ করে?

উত্তরঃ লাল বাতি জ্বললে থামুন লাইনের পিছনে গাড়ি থামিয়ে অপেক্ষা করতে হবে, সবুজ বাতি জ্বললে গাড়ি নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া যাবে এবং হলুদ বাতি জ্বললে গাড়ি থামানোর প্রস্তুতি নিতে হবে।



প্রশ্ন ২৮ঃ নিরাপদ দুরত্ব বলতে কি বোঝায়?

উত্তরঃ সামনের গাড়ির সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পেছনের গাড়িকে নিরাপদে থামানোর জন্য যে পরিমান দুরত্ব বজায় রেখে গাড়ি চালাতে হয় তাকে নিরাপদ দুরত্ব বলে।


প্রশ্ন ২৯ঃ পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ কিমি গতিতে গাড়ী চললে নিরাপদ দুরত্ব কত হবে?

উত্তরঃ ২৫ মিটার।



প্রশ্ন ৩০ঃ পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০মাইল গতিতে গাড়ী চালালে নিরাপদ দুরত্ব কত হবে?

উত্তরঃ ৫০গজ বা ১৫০ফুট।
10k u Vitamin C

                         
               ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পর্ব-০৪
                     
প্রশ্ন ৩১: লাল বৃত্তে ৫০ কিমি লেখা থাকলে কি বোঝায়?
উত্তরঃ গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘন্টায় ৫০ কিমি।
প্রশ্ন ৩২: নীল বৃত্তে ৫০ কিমি লেখা থাকলে কি বোঝায়?
উত্তর: গাড়ির সর্বনিন্ম গতিসীমা ঘন্টায় ৫০ কিমি।
প্রশ্ন ৩৩: লাল বৃত্তের মধ্যে হর্ণ আঁকা থাকলে কি বোঝায়?
উত্তর: হর্ণ বাজানো নিষেধ।
প্রশ্ন ৩৪: লাল বৃত্তের ভিতরে একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কি বোঝায়?

উত্তর: বড় বাস প্রবেশ নিষেধ।
প্রশ্ন ৩৫: লাল বৃত্তে একজন চলমান মানুষের ছবি থাকলে কি বোঝায়?
উত্তর: পথচারী পারাপার নিষেধ।

প্রশ্ন ৩৬: লাল ত্রিভুজে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কি বোঝায়?
উত্তর: সামনে পথচারী পারাপার, তাই সাবধান হতে হবে।
প্রশ্ন ৩৭: লাল বৃত্তের ভিতর একটি লাল ও একটি কালো গাড়ি থাকলে কি বোঝায়?
উত্তর: ওভারটেকিং নিষেধ।
প্রশ্ন ৩৮: আয়তক্ষেত্রে 'P' থাকলে কি বোঝায়?
উত্তর: পার্কিং এর জন্য নির্ধারিত স্থান।
প্রশ্ন ৩৯: কোন কোন স্থানে গাড়ির হর্ণ বাজানো নিষেধ?
উত্তর: নীরব এলাকায় গাড়ির হর্ণ বাজানো নিষেধ। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা অনুরুপ প্রতিষ্ঠানের চারদিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকা নীরব এলাকা হিসেবে চিন্হিত।
প্রশ্ন ৪০: কোন কোন স্থানে ওভারটেক করা নিষেধ?
উত্তর: ওভারটেকিং নিষেধ সম্বলিত সাইন থাকে এমন স্থানে, জাংশনে, ব্রিজ/কালভার্ট ও তার আগে পরে নির্দিষ্ট দুরত্বে, সরু রাস্তায়, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিস্ঠান এলাকায় ।

প্রশ্ন ৪১: কোন কোন স্থানে গাড়ি পার্ক করা নিষেধ?
উত্তর: যেখানে পার্কিং নিষেধ বোর্ড আছে এমন স্থানে, জাংশনে, ব্রিজ/কালভার্টের উপর, সরু রাস্তায়, হাসপাতাল-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়, পাহাড়ের ঢালে ও ঢালু রাস্তায়, ঢুটপাত, পথচারী পারাপার এবং তার আশেপাশে, বাস স্টপেজ ও তার আশেপাশে, রেল ক্রসিং ও তার আসেপাশে।
প্রশ্ন ৪২: গাড়ি রাস্তার কোন পাশ দিয়ে চলাচল করবে?
উত্তর: গাড়ি রাস্তার বাম পাশ দিয়ে চলাচল করবে। যে রাস্তায় একাধিক লেন থাকবে সেখানে বামপাশের লেনে ধীর গতির গাড়ি এবং ক্রমান্বয়ে ডানপাশের লেনে দ্রুতগতির গাড়ী চলবে।
প্রশ্ন ৪৩: কখন বাম দিক দিয়ে ওভারটেক করা যায়?
উত্তর: যখন সামনের গাড়ির চালক ডান দিকে মোড় নেয়ার ইচ্ছায় যথাযথ সংকেত দিয়ে রাস্তার মাঝামাঝি যেতে থাকবেন তখনই পেছনের গাড়ির চালক বামদিক দিয়ে ওভারটেক করতে পারবেন।
প্রশ্ন ৪৪: চলন্ত অবস্থায় সামনের গাড়িকে অনুসরণ করার সময় কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত?
উত্তর: সামনের গাড়ির গতি ও গতিবিধি, সামনের গাড়ি থামার সংকেত দিচে্ছ কিনা, সামনের গাড়ি ডানে/বামে ঘুরার সংকেত দিচ্ছে কিনা, সামনের গাড়ি হতে নিরাপদ দুরত্ব বজায় আছে কিনা।
প্রশ্ন ৪৫: রাস্তার পাশে সতর্কতামুলক "স্কুল/শিশু" সাইনবোর্ড থাকলে চালকের করনীয় কি?
উত্তর: ক) গাড়ির গতি কমিয়ে রাস্তার দু-পাশে ভালো করে দেখে-শুনে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হতে হবে। কারণ বাচ্চারা হচ্ছে ইতরপ্রাণী, কখন কি করে তার ঠিক নেই।
খ) রাস্তা পারাপারের অপেক্ষায় কোন শিশু থাকলে তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

প্রশ্ন ৪৬: গাড়ির গতি কমানোর জন্য চালক হাত দিয়ে কিভাবে সংকেত দিবেন?
উত্তর: চালক তার যান হাত গাড়ির জানলা দিয়ে সোজাসুজি বের করে ধীরে ধীরে উপরে নীচে উঠানামা করতে থাকবেন।
প্রশ্ন ৪৭: লেভেল ক্রসিং বা রেল ক্রসিং কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর: লেভেল ক্রসিং বা রেল ক্রসিং দুই প্রকার। ক) রক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহাদার নিয়ন্ত্রিত রেল ক্রসিং খ) অরক্ষিত রেল ক্রসিং বা পাহারাদার বিহীন রেল ক্রসিং।
প্রশ্ন ৪৮: রক্ষিত লেভেলক্রসিং এ চালকের কর্তব্য কি?
উত্তর: গাড়ির গতি কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে। যদি রাস্তা বন্ধ থাকে তাহলে গাড়ি থামাতে হবে, খোলা থাকলে ডানে-বামে ভালো করে দেখে নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে হবে।
প্রশ্ন ৪৯: অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং এ চালকের কর্তব্য কি?
উত্তর: গাড়ির গতি একদম কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে। প্রযোজনে লেভেলক্রসিং এর নিকট থামাতে হবে।। এরপর ডানে বামে দেখে নিরাপদ মনে হলে অতিক্রম করবে।
প্রশ্ন ৫০: বিমানবন্দরের কাছে চালক সতর্ক হবেন কেন?
উত্তর: বিমানের প্রচন্ড শব্দে চালক বিচলিত হতে পারেন, সাধারণ শ্রবন ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটতে পারে, বিমানবন্দরে ভিআইপ, ভিভিআইপ বেশি চলাচল করে, এই বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হয়।

প্রশ্ন ৫১: মোটর সাইকেল চালক ও আরোহীর হেলমেট ব্যবহার করা উচিত কেন?
উত্তর: মানুষের মাথা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের চেয়ে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সামান্য আঘাতেই মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। তাই দুর্ঘটনার হাত থেকে মাথাকে রক্ষা করার জন্য হেলমেট ব্যবহার করা উচিত।
প্রশ্ন ৫২: গাড়ির পেছনের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য কতক্ষন পরপর লুকিং গ্লাস দেখতে হবে।
উত্তর: প্রতি মিনিটে ৫/৬ বার।
প্রশ্ন ৫৩: পাহাড়ি রাস্তায় কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?
উত্তর: সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে ১ নং গিয়ারে বা ফার্স্ট গিয়ারে সতর্কতার সাথে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে হবে। পাহাড়ের চুড়ার কাছে গিয়ে আরো ধীরে উপরে উঠতে হবে। কারণ চুড়ায় দৃষ্টিসীমা অত্যন্ত সীমিত। নিচে নামার সময় গাড়ির গতি অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রভাবে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। তাই সামনের গাড়ি থেকে বাড়তি দুরত্ব বজায় রেখে নামতে হবে। উঠা-নামার সময় কোন ক্রমেই ওভারটেকিং করা যাবে না।
প্রশ্ন ৫৪: বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালনার ক্ষেত্রে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
উত্তর: বৃষ্টির সময় রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় ব্রেক কম কাজ করে। এই কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ধীর গতিতে (সাধারণ গতির অর্ধেক গতিতে) গাড়ি চালাতে হবে। যাতে ব্রেক প্রয়োগ করে অতি সহজেই গাড়ি থামনো যায়। অর্থাৎ ব্রেক প্রয়োগ করে গাড়ি যাতে অতি সহজে থামানো যায় সেইরকম গতিতে গাড়ি চালাতে হবে। ২৫ থেকে ৩০ কিমি/ঘন্টা গতিতে।
প্রশ্ন ৫৫: ব্রিজে উঠার পূর্বে একজন চালকের করণীয় কি?
উত্তর: ব্রিজ বিশেষ করে উচু ব্রীজের অপর প্রান্ত থেকে আগত গাড়ি সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না তাই ব্রিজে উঠার আগে সতর্কতার সাথে গাড়ির গতি কমিয়ে উঠতে হবে। তাছাড়া রাস্তার তুলনায় ব্রিজের প্রস্থ অনেক কম তাই ব্রিজে কখনোই ওভারটেকিং করা যাবে না।


প্রশ্ন ৫৬: পার্শ্ব রাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার সময় কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?

উত্তর: পার্শ্ব রাস্তা বা ছোট রাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার আগে গাড়ির গতি কমিয়ে, প্রয়োজনে থামায়ে, প্রধান রাস্তার গাড়িকে নির্বিঘ্নে যেতে দিতে হবে। প্রধান রাস্তা ফাঁকা হলে সতর্কতার সাথে প্রবেশ করতে হবে।

প্রশ্ন ৫৭: রাস্তার উপর সাধারণত কি কি ধরনের রোড মার্কিং অঙ্কিত থাকে?

উত্তর: রাস্তার উপর সাধারণত ৩ ধরনের রোড মার্কিং অঙ্কিত থাকে। ১) ভাঙ্গা লাইন - যা অতিক্রম করা যায়, ২) একক অখন্ড লাইন - যা অতিক্রম করা নিষেধ; তবে বিশেষ প্রযোজনে অতিক্রম করা যায়, ৩) দ্বৈত অখন্ড লাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ এবং আইনত দন্ডনীয়।

প্রশ্ন ৫৮: জেব্রা ক্রসিং এ চালকের কর্তব্য কি?

উত্তর: জেব্রাক্রসিং এ পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে দিতে হবে এবং পথচারী যখন জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পার হবে তখন জেব্রা ক্রসিং এর আগে গাড়ী থামিয়ে রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই জেব্রা ক্রসিং এর উপর গাড়ি দাড়ানো যাবে না।

প্রশ্ন ৫৯: কোন কোন গাড়িকে ওভারটেক করার সুযোগ দিতে হবে?

উত্তরঃ যে গাড়ির গতি বেশী, এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরী সার্ভিস, ভিআইপি গাড়ি ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৬০: হেড লাইট ফ্লাশিং বা আপার ডিপার ব্যবহারের নিয়ম কি?

উত্তরঃ শহরের মধ্যে সাধারণত লো বিম বা ডিপার ব্যবহার করা হয়। রাতে কাছাকাছি গাড়ি না থাকলে বেশি দুর দেখার জন্য হাই বিম ব্যবহার করা হয়। তবে বিপরীত দিকে কোন গাড়ি ১৫০মিটার এর কাছাকাছি আসলে লো বিম ব্যবহার করে গাড়িকে পাস দিতে হবে।

প্রশ্ন ৬১. গাড়ি ব্রেক ফেল করলে করণীয় কি?

উত্তর: গাড়ির ব্রেক ফেল করলে প্রথমে এক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিতে হবে। ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ির ক্ষেত্রে প্রথমে ২য় গিয়ার এবং পরে ১ম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে গাড়ির গতি অনেক কমে যাবে। এই পদ্ধতিতে থামানো সম্ভব না হলে গাড়িকে রাস্তার আইল্যান্ড, ডিভাইডার, ফুটপাত বা অন্য কিছুর সাথে ঠেকিয়ে থামাতে হবে। কোন অবস্থাতেই মানুষের উপর তুলে দেওয়া যাবে না।
Collected From Vitamin C
                                                            www.fb.com/jrliton77




No comments:

Post a Comment