The Way I Manage My
Classroom
শ্রেণি ব্যবস্থাপনায় আমি যে কৌশলগুলো প্রয়োগ করিঃ
১। ক্লিয়ার এন্ড কন্সাইজ ইন্সট্রাকশন (Clear and Concise Instruction):
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে আমি পরিস্কার নির্দেশনা দেই এবং এক সাথে কখনো একের অধিক কাজ করার নির্দেশ দেই না তাই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে আমি যেমন কাজটি আদায় করতে পারি তেমনি তারা ক্লাসে বিশৃঙ্খলার সৃস্টি করারও সুযোগ পায়না। আমি মনে করি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদেরকে কাজ করার জন্য স্মার্ট শিক্ষকের পরিস্কার এবং সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা দেওয়া উচিত।
২। নন-ভারবাল কারেকশন (Nonverbal Correction):
ক্লাসে পড়া্নোর সময় আমি যখন দেখতাম অনেক ছাত্র-ছাত্রী আমার কথা না শুনে বরং কথা বলছে অথবা অমনযোগী দেখা যাচ্ছে এটা অপ্রিয় হলেও সত্য তখন তাদের বকা দিতাম, ধমক দিতাম। দীর্ঘ ১৯ বছরের চাকুরীর অভিজ্ঞতা, সর্বোপরি
বিভিন্ন প্রশিক্ষণ
থেকে আহরিত জ্ঞানের আলোয় নিজেকে আলোকিত করে বর্তমানে
একজন স্মার্ট টিচার হিসাবে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কোন বকা বা ধমক না দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য একেবারে নীরব হয়ে যাই। আমার এই খনিকের নীরবতা দেখে ছাত্র-ছাত্রীরা এমনিতে নিজেদের মধ্যে কথা বলা বন্ধ করে দেয় এবং আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে।
আরও একটি ভিন্ন উপায়ে ক্লাসে আমি আমার অমনোযোগী ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগ ফিরিয়ে আনি। তা হলো, যে ছাত্র/ছাত্রীটি কথা বলে অথবা অমনযোগী থাকে সে ছাত্র/ছাত্রীটির পাশে গিয়ে আমি দাঁড়িয়ে থাকি। ছাত্র-ছাত্রীদের উপর শিক্ষকের এই নিয়ন্ত্রন অটুট রাখতে এই নন-ভারবাল কারেকশনের কোন বিকল্প নেই।
৩। ক্লাসরুম কারেকশন (Classroom Correction):
ক্লাসের যে কোন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীর অংশগ্রহন শতভাগ নিশ্চিত করতে একজন স্মার্ট টিচার হিসাবে একের অধিক সময় আমি নির্দেশনাটি দেই তাতে যেসব ছাত্র-ছাত্রী আমার নির্দেশনাটি অনুসরন করেনি তাদেরকে আমি পূনর্নির্দেশ দিলে ক্লাসের সকল ছাত্র-ছাত্রী কাজ করা শুরু করে। যাকে বলা হয় হ্যৌল গ্রুপ কারেকশন। তার পরেও যখন দেখি কিছু ছাত্র-ছাত্রী কাজ করা শুরু করেনি তাদের নাম না বলে তাদের সংখ্যাটি শুধু উল্লেখ করি। যদি তিন জন কাজ শুরু না করে থাকে তাহলে বলি, আমি এখনও তিন জনের জন্য অপেক্ষা করছি, যদি দুই জন কাজ শুরু না করে থাকে তাহলে বলি, আমি এখনও দুই জনের জন্য অপেক্ষা করছি। এভাবে এক পর্যায়ে ক্লাসের সকল ছাত্র-ছাত্রী কাজ করা শুরু করে। এ কে বলা হয় অ্যানোনাইমাস ইন্ডিভিজুয়ল কারেকশন। এর পরেও যদি কোন ছাত্র/ছাত্রী কাজটি শুরু না করে তাহলে আমি ঐ ছাত্র/ছাত্রীটির কাছে গিয়ে আস্তে তার কি কাজ করার কথা তা মনে করিয়ে দেই। যাকে বলে প্রাইভেট ইন্ডিভিজুয়ল কারেকশন। এভাবে একজন স্মার্ট টিচার হিসাবে যে কোন কার্যক্রমে আমি ক্লাসের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করি।
৪। পজিটিভ বিহেভিয়ার কারেকশন (Positive Behaviour Correction):
প্রায় সময়ই দেখি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কোন কাজ করার নির্দেশ দিলে অনেক ছাত্র/ছাত্রী কাজটি না করে বসে থাকে অথবা পাশের কারো সাথে কথা বলার চেষ্টা করে। আমি তাদেরকে কাজ শুরু না করার জন্য বকা বা লজ্জা না দিয়ে একজন স্মার্ট টিচার হিসাবে যে সকল ছাত্র/ছাত্রী কাজটি করা শুরু করেনি তাদের নাম ধরে তারা কাজটি শুরু করছে বলতে থাকি এভাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায় ক্লাসের সকল ছাত্র/ছাত্রী কাজটি করা শুরু করছে। যাকে বলে পজেটিভ বিহেভিয়ার কারেকশন। দেখলাম ক্লাসের চঞ্চল ছাত্র/ছাত্রীটির নাম ধরে বললে সে ও কাজটি শুরু করে দেয়। এভাবে এ সকল ছাত্র/ছাত্রীর নেগেটিভ দিক জানা থাকা সত্ত্বেয় ক্লাসের সবার সামনে ওদের সম্পর্কে পজিটিভ কথা বলে তাদের কাছ থেকে যেমন কাজটি আদায় করতে সক্ষম হই তেমনি একজন স্মার্ট টিচার হিসাবে আমার প্রতি তাদের আত্মবিশ্বাস ও বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন।
৫। কোল্ড-কল টেকনিক (Cold Call Technique):
আমি যখন ক্লাসে সংক্ষিপ্ত ধরনের কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই তখন দেখি ক্লাসের সব ছাত্র/ছাত্রী প্রায় একযোগে “আমি বলব, আমি বলব” বলে চিৎকার করতে থাকে অথবা কেউ কেউ উত্তরটি বলে ই দেয়। এমনকি আমি যদি তাদেরকে বলি যে, “যারা প্রশ্নটির উত্তর বলতে পারবে তারা ই শুধু হাত উঠাবে” তবুও অনেক শিক্ষার্থী প্রশ্নের উত্তর বলে দেয়। তাই, এহেন পরিস্থিতিতে শ্রেণি কক্ষের পরিবেশ সুন্দর রাখতে এবং আমার কাঙ্খিত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশ্নটির উত্তর পেতে ক্লাসে প্রশ্ন করার পর
তাদেরকে কোন
কথা
বলতে না দিয়ে নীরব থাকতে বলি। তারপর আমি যে কোন শিক্ষার্থীর নাম ধরে সেই প্রশ্নটি করি। এভাবে আমি কোল্ড-কল টেকনিক (Cold Call Technique) ব্যবহার করার মাধ্যমে শ্রেণি কক্ষের পরিবেশ সুন্দর রাখি এবং শিক্ষার্থীদের পারগতা ইন্ডিভিজুয়লি যাচাই করি।
৬। নো-অপ্ট-আউট (No opt Out) এবং ওয়েট টাইম (Waiti Time):
ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কোন প্রশ্ন করে উত্তর না পেলে একজন স্মার্ট টিচার হিসাবে আমি ছাত্র-ছাত্রীদের বকা না দিয়ে Clue দিয়ে সাহায্য করি তারপর অন্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশ্নটির উত্তর জানতে চেয়ে এবং ঐ
শিক্ষার্থীও যদি উওরটি না
পারে তাকে বসতে না
দিয়ে অন্য শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করে
তার
কাছ
থেকে উত্তরটি বের করে আনি। নো-অপ্ট-আউট (No opt Out) টেকনিক এ Clue এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী।
এভাবে পর পর কয়েক জন শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করে উত্তর না পেলে আমি পারগ শিশুদেরকে হাত উঠাতে বলি এবং তাদের জানা উত্তরটি অপারগ শিশুদেরকে কানে কানে বলে দিতে বলে ৩০
সেকেণ্ড অপেক্ষা করি। এভাবে ওয়েট টাইম (Waiti Time) টেকনিক ব্যবহার করে তাদের সবার কাছ থেকে উত্তর নেওয়ার চেষ্টা করি।
৭। স্কলার পজিশন (Scholar Position):
ক্লাস শুরুর পূর্বে অথবা ক্লাসে যখন আমি কোন নির্দেশনা দেই অথবা বোর্ডে কিছু লিখতে থাকি তখন দেখতে পাই ছাত্র-ছাত্রীরা আমাকে অনুসরন না করে কথা বলতে থাকে; অমনোযোগী থাকে। তাই, আমি ক্লাসে তাদের মনোযোগ ফিরিয়ে আনতে স্কলার পজিশন ব্যবহার করি। যেমন, আমি যখন One বলি তখন তারা তাদের দুই
হাত
দুই
হাটুর উপর
রেখে সোজা হয়ে বসে থাকে, যখন Two বলি তখন তাদের দুই
হাত
বেঞ্চের উপর রাখে এবং Three বললে এক হাতের পাঁচটি আঙ্গুল আরেক হাতের পাঁচটি আঙ্গুলের ফাঁকে মুষ্টিবদ্ধ করে রেখে নীরব হয়ে বসে থাকে। এভাবে ক্লাস শুরুর পূর্বে, ক্লাসে পড়ানোর সময়, কোন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়ার সময় এবং শিক্ষার্থীদের কাজ শেষে তাদেরকে ক্লাসে স্কলার পজিশন (Scholar Position) এ বসে থাকার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কাঙ্খিত আচরণ পাই।
৮। সিগন্যাল (Signal):
ক্লাসে পড়ানোর সময় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আমি যেসব সিগন্যাল ব্যবহার করতে বলেছি তা হলোঃ যখন কোন শিক্ষার্থী বাথরুম বা ওয়াশরুমে যায় তখন সে এক
আঙ্গুল প্রর্দশন করে, যখন পানি খাওয়ার জন্য যায় তখন সে দুই
আঙ্গুল প্রর্দশন করে, যখন পেন্সিল শার্প করার জন্য বাইরে বা বিনের দিকে যায় তখন সে তিন
আঙ্গুল প্রর্দশন করে এবং কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে, আমাকে কোন প্রশ্ন করতে গেলে অথবা অন্য যেকোন প্রয়োজনে হ্যান্ড রেইজ করে।
৯। কিউ (Cue):
আমি শ্রেণিকক্ষে যেভাবে কিউ (Cue) ব্যবহার করিঃ
বোর্ডের কোন লেখা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তাদের খাতায় লেখার সময় আমি যখন 1,
2, 3… বলে Go বলি তখন ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ব্যাগ থেকে খাতা-কলম
বের
একযোগে লেখা শুরু করে।
দলীয় কাজেঃ
শিক্ষার্থীদের দলীয় কাজ
শেষ করার পর আমি যখন 5
থেকে উলটো করে
1 পর্যন্ত গণনা করে আসি তখন তারা তাড়াহুড়ো না করে নিঃশব্দে নিজ
নিজ
আসনে চলে যায়।
শ্রেণিতে বসার সময়ঃ
শিক্ষার্থীরা যদি ক্লাসে কখনো এলোমেলো হয়ে
বসে
থাকে এবং কোন কারণে তাদের কেউ কেউ ক্লাসের বাহির থেকে আসতে থাকে তখন আমি
10 থেকে উলটো করে
0 পর্যন্ত গণনা করে আসি তখন তারা নিজ নিজ আসনে বসে পরে এবং সাথে সাথে তাদেরকে স্কলার পজিশন (Scholar Position) এ বসতে বলি।
ক্লাস ডিসমিজাল এর
সময়ঃ
ছুটির ঘন্টা বাজলে ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হওয়ার পূর্বে আমি যখন তাদেরকে 1 বলি তখন তারা বই,খাতা, কলমসহ তাদের যাবতীয় শিক্ষাপোকরণ ব্যাগের মধ্যে রাখে, যখন 2
বলি তখন তারা তাদের ব্যাগটি ডেস্কের উপর
রাখে, 3 বলার পর তারা ব্যাগটি তাদের কাঁধে ঝুলিয়ে বেঞ্চে নীরবে বসে
থাকে এবং যখন Go
বলি তখন এক
পাশ
থেকে একজন একজন করে
শৃঙ্খলা বাজায় রেখে ক্লাসরুম হতে
বের
হতে
শুরু করে। যেহেতু, ছুটির ঘন্টা বাজলে ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হওয়ার তাড়াহুড়ো সৃস্টি করে তাই এ সময় যেকোন দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ধরণের দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ক্লাসে কিউ (Cue) ব্যবহারের কোন বিকল্প নাই। এছাড়া আমি বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশে অনেক সময় মৌখিক নির্দেশ না দিয়ে বাঁশির মাধ্যমে কিউ
ব্যবহার করি।
বিনা শব্দে স্কলার পজিশন (Scholar Position):
অনেক সময় আমি বিনা শব্দে শিক্ষার্থীদেরকে স্কলার পজিশন (Scholar Position) এ বসতে বলি। যেমন, আমি যখন একবার তালি দেই তখন তারা তাদের দুই
হাত
দুই
হাটুর উপর রেখে সোজা হয়ে বসে থাকে, যখন দুইবার তালি দেই তখন তাদের দুই
হাত
বেঞ্চের উপর রাখে যখন তিনবার তালি দেই এক
হাতের পাঁচটি আঙ্গুল আরেক হাতের পাঁচটি আঙ্গুলের ফাঁকে মুষ্টিবদ্ধ করে রেখে নীরব হয়ে বসে থাকে। পর্যবেক্ষণ করে দেখলাম শিক্ষার্থীরা মৌখিক নির্দেশনার চেয়ে কিউ (Cue) এর মাধ্যমে দেওয়া নির্দেশনা পালন করতে খুব পছন্দ করে।
১০। অ্যাটেনশন-গ্র্যাবার (Attention Grabber):
একটানা ক্লাস করতে যেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা যখন বিরক্ত হয়ে পড়ে; হারিয়ে ফেলে মনযোগ তখন আমি তাদের সাথে যা করিঃ
ক)
তাদেরকে আমি ৪/৫ বার Stand Up, Sit Down করতে ইন্সট্র্যাকশন দেই এবং তাদের সাথে আমি নিজে Stand Up, Sit
Down করি। অনেক সময় কোমরে হাত দিয়েও ৫/৭ বার উঠ বস করি।
খ)
একটানা তিনবার 1, 2, 3 বলে তাদেরকে 1, 2 বলতে দেই। এটা ছন্দায়িতভাবে ৩/৪ বার করতে দেই।
গ)
মাঝে মাঝে তাদেরকে (এক, দুই, এক দুই তিন বলে) কাব তালির মাধ্যমে মনযোগী করার চেষ্টা করি।
ঘ)
যারা আমার কথা শুনতে পাচ্ছে তাদেরকে হাত উঠাতে বলি। আমি হাতের কয়েকটি আঙুল প্রদর্শন করে কয়টি আঙুল দেখিয়েছি বলতে বলি।
ঙ)
মাঝে মাঝে ছোট ছোট গল্প ও কৌতুক বলি এবং ধাঁধাঁর উত্তর বলতে বলি।
চ)
বাংলা এবং ইংরেজি ওয়ার্ড গেইম খেলতে দেই। যে যত বেশি বর্ণ দিয়ে ওয়ার্ড তৈরি করতে পারে তাদেরকে পূরস্কৃত করি। এবং একটি ইংরেজি ওয়ার্ড থেকে সর্বোচ্চ যতগুলো ওয়ার্ড তৈরি করা যায় এই গেইমটি খেলতে দেই। আমার নিজের বানানো এই গেইমের নাম হলো “ভকাবিউল্যারি এনরিচিং গেইম” (Vocabulary Enriching Game)। যেমনঃ
প্রথমে আমি একটি ওয়ার্ড যেমনঃ “ Lesson “ বোর্ডে লিখে দেই।
এই Lesson শব্দটি থেকে তারা “on” অংশটি বাদ দিয়ে নতুন একটি শব্দ “Less“ বানাবে। যার অর্থ “কম” পরে Lesson শব্দটি থেকে “Les” অংশটি বাদ দিয়ে আরেকটি নতুন একটি শব্দ বানাবে “son” যার অর্থ “পুত্র” তারপর Lesson শব্দটি থেকে “Less” অংশটি বাদ দিয়ে আরেকটি নতুন একটি শব্দ বানাবে “on” যার অর্থ “উপরে”। (এই ব্যাপারে আমার লেখা (Vocabulary
Enriching Game) বইটি সংগ্রহ করে রাখতে পারেন এবং মাস দুয়েক পর আমার নিজের ডেভলাপ করা “Vocabulary
Enriching Game” নামক অ্যান্ড্রয়িড অ্যাপ্সটি গুগুল প্লেই স্ট্যৌর থেকে ডাউনল্যৌড করে নিতে পারেন। যার নমুনা কপি ছবি আকারে সংযুক্ত করা আছে। আমার নিজের ডেভলাপ করা অন্যান্য অ্যাপগুলো হলো, “ই-টিচার বিডি”, “প্রাথমিকের গানগুলো” এবং “অফলাইন পাঠশালা”। “প্রাথমিকের গানগুলো” এবং “অফলাইন পাঠশালা এই দুইটি অ্যাপ্স ব্যবহার করতে পারবেন সম্পূর্ণ ফ্রী তে কোন
ধরনের মোবাইল ডাটা ছাড়াই। )
এছাড়া নিম্নোক্ত Word Game এর মতো অনেক গেইম আমি ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খেলতে দেই।
Starting
- শুরু
Satring
– চোখে পড়ার মতো
String
- দড়ি
Sting
– হুল ফোটানো
Sing – গান গাওয়া
Sin - পাপ
In - মধ্যে
I – আমি
যেমন Starting নামক একটি Word লিখে দেই। এই Word থেকে যেকোন Letter রিডিউস করে (ডিলিট করে) অন্য একটি Word তৈরি করা। এভাবে অবশিষ্ট Word গুলো থেকে ক্রমান্বয়ে পর্যাপ্ত Letter রিডিউস করে (ডিলিট করে) যতগুলো Word তৈরি করা যায়। এই অ্যাপ্সটি আপনার নিজের, আপনার শিক্ষার্থীর, আপনার সন্তানের ইংরেজি শব্দ ভাণ্ডার বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আমি দৃঢ় আশাবাদী।
১১। ফিডব্যাক বক্স (Feedback Box):
যে কোন বিদ্যালয়ের এটা একটি সুপরিচিত দৃশ্য যে, ক্লাস নেওয়ার সময় ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন ধরণের অভযোগ করে। যেমন, কোন একজন ছাত্র/ছাত্রী বলে উঠে, “স্যার, আমাকে (তার সহপাঠীর নাম ধরে বলে) ও/অমুক খামছা মেরেছে”, “স্যার, ও আমার কলম নিয়ে নিয়েছে”, “ও আমাকে কলম দিয়ে খোঁচা মেরেছে” ইত্যাদি নানান অভিযোগ। যার, কয়েকটা থাকে মিথ্যা এবং বানোয়াট। তাই, ক্লাসে আমার পাঠদান সময়ে এ ধরণের অভিযোগ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দেয়ালে সাটানো “কম্লেইপ বক্স” এ লিখে রাখার কথা বলি, কোন কাজে একজন অন্যজনকে যেকোনভাবে সাহায্য করলে তার প্রসংশা করে দু/একটি বাক্য লিখে দেয়ালে সাটানো “প্রেইজ বক্স” এ রাখার কথা বলি। অনুপস্থিতি অথবা যেকোন কারণে ক্লাসের কোন পড়া না বুঝতে পারলে তা নির্দিষ্ট করে লিখে “ওয়ার্ক প্রবলেম বক্স” এ রাখার কথা বলি। এভাবে আমি ফিডব্যাক বক্স (Feedback Box) এ জমা হওয়া টুকরো কাগজের লেখাগুলো প্রতিদিন পড়ি এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তাদেরকে কাউন্সেলিং করি এবং প্রয়োজনে ঐ শিশুর অভিভাবকবৃন্দকেও অবগত করি। আর “প্রেইজ বক্স” এ জমা লেখাগুলো জোড়ে জোড়ে পড়ে ক্লাসের অন্য শিক্ষার্থীদেরকেও ভালো কাজে অনুপ্রানিত করি এবং সব শেষে যেসকল শিক্ষার্থী পাঠের যে অংশটুকু বুঝতে পারেনি “ওয়ার্ক প্রবলেম বক্স” এ থাকা সেই সমস্যাগুলো নিয়ে শিক্ষকরুমে তাদের সাথে বসি এবং সমস্যা সমাধান করে দেই এবং এ পদ্ধতিটি আমি আমার সহকর্মীদেরকেও অনুসরণ করতে বলি। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিটি সমস্যাকে সমান গুরুত্বের সাথে সমাধানের ক্ষেত্রে ফিডব্যাক বক্স (Feedback Box) এর গুরুত্ব অপরিসীম। তবে, ফিডব্যাক বক্স (Feedback Box) এর কাজ শুধু সমস্যার সমাধান করা নয়। এর ফলাফল অনেক সুদুপ্রসারী ও যুগান্তকারী।
১২। ক্লাসরুম রুলস (Classroom Rules):
ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রাত্যাশিত আচরণটি পাওয়ার জন্য আমি নিম্নোক্ত ক্লাসরুম রুলসগুলো অনুসরণ করিঃ
টিফিন ব্রেক শেষে অথবা যেকোন সময়ে ক্লাসরুমে প্রবেশ করতেঃ
Be On Time
ক্লাসরুম হতে বের হতে
শিক্ষকের প্রশ্নের উত্তর প্রদানে অথবা ক্লাসে কথা বলার অনুমতি নিতেঃ
Raise Hand Before Say
Something…
ক্লাসে শিক্ষার্থীরা মনযোগী থাকতেঃ
Listen To Your Teacher
আমি ক্লাসরুম রুলসগুলো শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পোস্টার পেপারে লিখিয়ে নিয়ে দেয়ালে টানিয়ে দিয়েছি।
ক্লাসরুম রুলসগুলো অনুসরন করলে যেমন লেসন প্ল্যান অনুযায়ী পাঠদান করা যায় তেমনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কাঙ্খিত শিখনফল আশা করা যায়।
১৩। কনসিকুয়েন্স (Consequences):
যখন কোন শিক্ষার্থী উপরোক্ত ক্লাসরুম রুলসগুলো অনুসরন না করে তখন আমি তাদের জন্য দুই ধরনের কনসিকুয়েন্স (Consequences) প্রদান করি।
পজিটিভ কনসিকুয়েন্স (Consequences) - রিওয়ার্ডসঃ
যারা রুলসগুলো অনুসর করে রিওয়ার্ডস হিসাবে তাদেরকে হাত-তালি দিয়ে, কলম, পেন্সিল অথবা শার্পনার
দিয়ে অনুপ্রানিত
করি। ঐ দিন তাদের ভালো দিকগুলো জানিয়ে তাদের মা-বাবাকে চিরকূট লিখি, ফ্যৌন করে তাদের প্রসংশা করি। এট লীস্ট তাদেরকে ঐদিনের জন্য ক্লাস ক্যাপ্টেইন বানিয়ে দেই।
নেগেটিভ কনসিকুয়েন্স (Consequences)
ওয়ার্নিংঃ
ক্লাসরুম রুলসগুলো অনুসর না করলে তাদেরকে সতর্ক করে দেই, প্রয়োজনে
সীট চেইঞ্জ করে দেই, মাঝে মাঝে টিফিন টাইমে খেলতে যেতে নিষেধ করি কোন কোন দিন ছুটির পর কিছুক্ষণ ক্লাসরুম
থেকে বের হয়ে যেতে না দিয়ে কাউন্সেলিং করে অথবা কল করে তাদের মা-বাবা-অভিভাবকবৃন্দকে অবগত করি। তবে নেগেটিভ কনসিকুয়েন্স
দেওয়ার সময় কোন ভাবেই রাগান্বিত হওয়া যাবে না। তাকে বুঝাতে হবে যে শুধু রুলস ভাঙ্গার কারণে তাদেরকে এই নেগেটিভ কনসিকুয়েন্স দেওয়া হয়েছে, শিক্ষকের ব্যক্তিগত
কোন ক্ষোভ থেকে নয়। সীট চেইঞ্জ করে দেওয়ার পর যদি ঐ শিশুটি আবার ক্লাসরুম রুলস না ভাঙ্গে তাহলে তাকে পজিটিভ কনসিকুয়েন্স (Consequences) – রিওয়ার্ডস হিসাবে পূনরায় তার সীটে বসার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
শিক্ষার্থীদেরকে পাঠে মনযোগী করতে আরও যে টেকনিক ব্যবহার করা যায় তা হলোঃ
স্টার চার্টঃ প্রতি সপ্তাহে ৫টি স্টার পেলে শিক্ষকের
কাছ থেকে একটি পুরস্কার
পেতে পারে।
মাসিক মেলাঃ মেলা থেকে জিনিসগুলো (কলম, পেন্সিল, শার্পানার,
ইরেইজার ইত্যাদি) টাকা দিয়ে না প্রাপ্ত সাপ্তাহিক স্টার দিয়ে কিনতে পারবে।
গ্রুপ পয়েন্ট চার্টঃ গ্রুপ আভ
দা মান্থ
প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া যেতে পারে। যে গ্রুপ বেশি পয়েন্ট পাবে তাদের ছবি তোলে গ্রুপ “আভ দা মান্থ” হিসাবে ঘোষনা করে পুরস্কার
দেওয়া যেতে পারে।
ডেইলি ট্র্যাকারঃ
যাদের উপর নেগেটিভ কনসিকুয়েন্স
(Consequences) প্রয়োগ করা হবে বা ওয়ার্নিং
দেওয়া হবে তাদের নাম নিম্নের এই বোর্ডে লেখা থাকবে যতক্ষণ না তারা সংশোধিত হয়।
First Warning: X…
Seat Change: Y…
Break Time Off: Z…
After School: X…
Call Parents: Y…
সর্বোপরি এ ধরণের কার্যক্রমের
ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।
No comments:
Post a Comment