উপমহাদেশের কিংবদন্তী শিল্পী কিশোর কুমারকে সবাই মনে রেখেছেন হাসি-তামাশায় মশগুল ভাবমুর্তির জন্যে। কিন্তু হাসিঠাট্টার আড়ালে এককালের এই ডাকসাইটে শিল্পী ছিলেন খ্যাপাটে এক শিশুর মতই। চলতেন নিজের মর্জিমাফিক আর সে কারণে কারও ধার ধারতেন না। ভারতীয় রাজনীতির লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধীকেও মুখের ওপরে ‘না’ বলে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন তিনি।
ইন্দিরা গান্ধী তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে
জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী প্রস্তাবিত ‘বিশ দফা পরিকল্পনা’র
প্রচারণায় গান গাইতে বলা হয় কিশোর কুমারকে। খামখেয়ালি এই গায়ক কেবল এই প্রস্তাব
ফিরিয়েই দেননি, যারা প্রস্তাব নিয়ে আসেন তাদের গালিগালাজও করেন। তার আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তখনকার তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী ভিসি
শুক্লা অল ইন্ডিয়া রেডিওতে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন কিশোর কুমারের গান।
কর দিতেও কিশোর ছিলেন নারাজ। এ নিয়েও কম বিতর্ক হয় নি সে সময়। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন কিশোর। সামাজিক কার্যকলাপ থেকে নিজেকে দূরেই সরিয়ে রাখতেন।
সাফল্যের চূড়ায় জীবনের বেশিরভাগ সময় একাই কাটিয়েছেন কিশোর কুমার। নিজের ক্যারিয়ারের কথা ভেবে কিশোরকে ছেড়ে যান তার প্রথম স্ত্রী রুমা গুহঠাকুরতা। দ্বিতীয় স্ত্রী মধুবালার অসুস্থতা স্থায়ী হতে দেয়নি তাদের দাম্পত্য জীবনকে। তৃতীয় স্ত্রী যোগিতা বালিও ছেড়ে চলে যান কিশোরের ৪৯তম জন্মদিনের দিন, বিয়ে করেন মিঠুন চক্রবর্তীকে। চতুর্থ স্ত্রী লিনার সঙ্গে তার সংসার টিকেছিল জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।
বাগানের গাছগুলোকেই নিজের সঙ্গী বলে মনে করতেন। প্রত্যেকটা গাছের জন্য বরাদ্দ ছিল আলাদা নাম, গাছগুলোর সঙ্গে কথা বলে সময় কাটাতেন। সাধারণ মানুষ যাতে তার বাড়ির কাছে না ঘেষে তাই বাড়ির সীমানা লাগোয়া একটি খাল কাটার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। কাজ শুরু হলেও পরে তা ভেস্তে যায়। বাড়ির বৈঠকখানায় লাল আলোয় সাজিয়ে রেখেছিলেন কঙ্কাল আর মানুষের হাড়গোড়, যেন ভয় পেয়ে কেউ তার বাড়ির চৌহদ্দী না পাড়ায়।
হাসিতে মোড়ানো তার গানগুলোর পেছনে কোন দুঃখ লুকিয়ে ছিল তা আর কখনোই জানা হবেনা।
কর দিতেও কিশোর ছিলেন নারাজ। এ নিয়েও কম বিতর্ক হয় নি সে সময়। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন কিশোর। সামাজিক কার্যকলাপ থেকে নিজেকে দূরেই সরিয়ে রাখতেন।
সাফল্যের চূড়ায় জীবনের বেশিরভাগ সময় একাই কাটিয়েছেন কিশোর কুমার। নিজের ক্যারিয়ারের কথা ভেবে কিশোরকে ছেড়ে যান তার প্রথম স্ত্রী রুমা গুহঠাকুরতা। দ্বিতীয় স্ত্রী মধুবালার অসুস্থতা স্থায়ী হতে দেয়নি তাদের দাম্পত্য জীবনকে। তৃতীয় স্ত্রী যোগিতা বালিও ছেড়ে চলে যান কিশোরের ৪৯তম জন্মদিনের দিন, বিয়ে করেন মিঠুন চক্রবর্তীকে। চতুর্থ স্ত্রী লিনার সঙ্গে তার সংসার টিকেছিল জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।
বাগানের গাছগুলোকেই নিজের সঙ্গী বলে মনে করতেন। প্রত্যেকটা গাছের জন্য বরাদ্দ ছিল আলাদা নাম, গাছগুলোর সঙ্গে কথা বলে সময় কাটাতেন। সাধারণ মানুষ যাতে তার বাড়ির কাছে না ঘেষে তাই বাড়ির সীমানা লাগোয়া একটি খাল কাটার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। কাজ শুরু হলেও পরে তা ভেস্তে যায়। বাড়ির বৈঠকখানায় লাল আলোয় সাজিয়ে রেখেছিলেন কঙ্কাল আর মানুষের হাড়গোড়, যেন ভয় পেয়ে কেউ তার বাড়ির চৌহদ্দী না পাড়ায়।
হাসিতে মোড়ানো তার গানগুলোর পেছনে কোন দুঃখ লুকিয়ে ছিল তা আর কখনোই জানা হবেনা।
No comments:
Post a Comment