আসসালা মুআলাইকুম!
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। কামনাও
তাই। যেহেতেু ব্যস্ততার কারণে ইদানিং ফেইসবুকে আসতে পারিনি তাই অনেকের প্যৌস্টে ই লাইক
এবং কমেন্ট করতে পারিনি। সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
অ্যানিউয়েই, যারা আমার লেখা
‘সবজান্তা বিসিএস সমাচার’,
‘উচ্চশিক্ষিত মাথামোটা সমীপে’,
‘ঘর জামাই’,
‘Learn and Let Me Learn’,
‘গোড়ায় গলদ’,
‘সিলেটি OC
/ DC’
ভুল জানার চেয়ে ভুলের মধ্যে বাস করাটা কী বড়
অপরাধ নয়?
‘The Deaf Bangalee-বধির বাঙ্গালি’
শিরোনামে লিখাগুলো পড়েননি তাদের
প্রতি ‘The Deaf Bangalee-বধির বাঙ্গালির’ এই অংশটুকু পড়ার আহবান রইল।
সাম্প্রতিক বাংলার প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক
সদ্য প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদ স্য(র) এনট্রফি বিয়য়ের উপর Phd করতে যখন (অ্যা)মেরিকার
North Dakota State University তে যান তখন চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী তাঁহাকে উক্ত বিষয়ের
উপর Undergraduate ছাত্রদের পাঠদান করতে হয়।
একদিন তিনি এন্ট্রফির একটি অংশ বিশেষ মনোযোগের সাথে বেশ সময় নিয়ে বুঝাচ্ছেন।
( প্রিয় পাঠক, বলা বাহুল্য এখানে কোন বাঙ্গালি ছাত্র ছিল না। তাই বাংলায় পাঠদান করার
প্রশ্নই আসেনা। এখানে ইংরেজি ছাড়া যোগাযোগের অন্য কোন মাধ্যম নেই।) তো অনেক্ষণ ধরে নির্ধারিত বিষয়ের উপর ক্লাস নেওয়ার
পর একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে বিনীতভাবে হুমায়ুন আহমেদ স্য((র) কে বলল, “স্য((র) যে বিষয়টি নিয়ে আপনি এতক্ষণ
আলোচনা করলেন, আই মীন যে বিষয়টি আপনি এতক্ষণ আমাদেরকে বুঝালেন অনূগ্রহ করে এই বিষয়টি কী আমাদেরকে
আবারও ইংরেজিতে বলবেন।” একথা শুনে ক্লাসে হাসির
রোল পড়ে গেল। কারণ, উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীরা স্যরের ইংরেজি বুঝতে না পাড়লেও ঐ মেয়েটির
কথা স্পষ্ট বুঝতে পারল। ( পাঠক বলতে পারবেন হুমায়ুন স্যর জবাবে কী বলেছিলেন?) মেয়েটির কথা শুনে তিনি বললেন, “ আমি হাবার মতো দাঁড়িয়ে
রইলাম।”
বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি ইতিবাচক
মনোভাবধারী সেই প্রাজ্ঞের প্রতি। কারণ, লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন
দেশের স্বাধীন ভাষায় তিনি কতো না ফুলজুড়ি ছড়িয়ে গিয়েছেন, সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন সালাম,
রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউরদের মতো নাম না জানা অনেকের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে ফিরে পাওয়া প্রিয়
মাতৃভাষা বাংলাকে। যে ভাষা পেয়েছে আজ আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা দিবসের গৌরবোজ্জ্বল সম্মান। হুমায়ুন
স্যর সম্পর্কে যারা ভালো জানেন তারা অবশ্যই সহমত পোষন করবেন যে, তিনি যেমন বাংলায় দক্ষ
ছিলেন, তেমনি ছিলেন ইংরেজিতে ও। তিনি ভালোবাসতেন বাংলাভাষাকে, ভালোবাসতেন বাংলাকে,
ভালোবাসতেন বাংলার মানুষকে। আর তাইতো তিনি বাংলায় লিখেছেন বাংলাভাষাভাষীদের জন্য, ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেয় নেননি অ্যামেরিকার মতো উন্নত
দেশের নাগরিকত্ব । উনার মতো উন্নত মননের অধিকারী আমরা কয়্জন আছি ইংরেজিতে সঠিক ভাবে
কথা বলার অক্ষমতাটুকু স্বীকার করতে পারি, জনসমক্ষে প্রকাশ করতে পারি। জানতে পারি, কয়জন
আছি? ইয়েস্, আইমদা উঅন। হু অলওয়েজ সেই, আই
ন্যৌ নাথিং 'বাউঃ ইংলিশ অ্যানল। আমি আনএইবল্
ট্য স্পীক ইংলিশ ফ্লুয়েন্টলি। বাঃ আই 'ট্চ্রাই
মাই বেস্ট টু এনহেন্স্ মাই ফ্লুয়েন্সি।
যাইহোক, আবারও মূল কথায় ফিরে আসি। প্রায় ৩৫ মিনিট
ইংরেজি ভাষায় পাঠদান করার পরেও Undergraduate মেয়েটি যখন দাঁড়িয়ে বিনীতভাবে
হুমায়ুন আহমেদ স্য((র) কে বলেছিল, “স্য((র) যে বিষয়টি নিয়ে আপনি এতক্ষণ
আলোচনা করলেন, আই মীন যে বিষয়টি আপনি এতক্ষণ আমাদেরকে বুঝালেন অনূগ্রহ করে এই বিষয়টি কী আমাদেরকে
আবারও ইংরেজিতে বলবেন।”
আশাকরি সবাই বুঝতে পেরেছেন কেন মেয়েটি স্যারের
ইংরেজি বুঝতে পারেনি? জ্বি, স্যারের প্রনান্সিয়েইশন্ (উচ্চারণ) ছিল তখন
ট্রাডিশনাল্। তাই সেই নেইটিভ্/নেইটিভ ফ্লুয়েন্ট স্পীকা(র) মেয়েটির সে সময় স্যারের ইংরেজি বুঝতে পারেনি।
‘সবজান্তা বিসিএস সমাচার’,
‘উচ্চশিক্ষিত মাথামোটা সমীপে’,
‘ঘর জামাই’,
‘Learn and Let Me Learn’,
‘গোড়ায় গলদ’,
‘সিলেটি OC / DC’
অপরাধ নয়?
‘The Deaf Bangalee-বধির বাঙ্গালি’
আশাকরি সবাই বুঝতে পেরেছেন কেন মেয়েটি স্যারের ইংরেজি বুঝতে পারেনি? জ্বি, স্যারের প্রনান্সিয়েইশন্ (উচ্চারণ) ছিল তখন ট্রাডিশনাল্। তাই সেই নেইটিভ্/নেইটিভ ফ্লুয়েন্ট স্পীকা(র) মেয়েটির সে সময় স্যারের ইংরেজি বুঝতে পারেনি।
No comments:
Post a Comment