গিটারের নোট বলতে মূলত সুর কে বুঝানো হয় । বাংলায় আমরা
যেটাকে সা, রে, গা, মা, পা, ধা , নি দিয়ে সম্বোধন করি , ইংরেজিতে সেটাকে C D
E F G A B এভাবে সম্বোধন করা হয়। গিটার যেহেতু একটি বিদেশী বাদ্যযন্ত্র ,
তাই এর ইংরেজি গ্রামার ব্যাবহার করলেই শিখতে সুবিধা হয়।
সাইন গুলোর পাশাপাশি নিচের নোট সিরিয়ালটিও মুখস্থ করে নিন। এটি অবশ্যই কাজে
লাগবে।
A–A#–B–C–C#–D–D#–E–F–F#–G–G#–A
[B এবং E এর কোন # (শার্প) নোট হয়না]
টিউনিং হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় গিটারের স্ট্রিং (তার) গুলোকে টাইট
করা। যাতে সঠিক সুর টি আসে। টিউনিং ছাড়া গিটার দিয়ে কখন কোন সঠিক সুর তোলা
সম্ভব নয়। টিউনিং হলো মিউসিক সেন্স এর ব্যপার। এবার আপনার গিটারের তার
গুলোকে হেডস্টক এর টিউনারগুলোকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সাউন্ড ঠিক করতে হবে।
গিটারের ফিঙ্গার বোর্ডের বিভিন্ন ফ্রেটস এ আঙ্গুল রেখে বাজালে কোন সুর
(note) টি বাজবে সেটি মনে রাখতে হবে। যখন ফিঙ্গার বোর্ডে কোনরুপ আঙ্গুল না
দিয়ে বাজালে তখন ওপেন নোটগুলো বাজবে।
গিটার শেখার সময় পিক দিয়ে এবং পিক ছাড়া উভয় ভাবে বাজানোর প্রাক্টিস করতে
হবে। পিক হচ্ছে ছোট্ট একটি প্লাস্টিকের ত্রিভুজ আকৃতির খণ্ড, যা দিয়ে গিটার
বাজানো হয়। প্র্যাকটিসের সময় চিন্তা করতে হবে – কি বাজানো হচ্ছে, কেমন
সাউন্ড হচ্ছে এবং তা আপনার পছন্দ হচ্ছে কি না? যখন বিরক্ত লাগবে, তখন হালকা
রেস্ট নিয়ে আবার শুরু করতে হবে। ভাল গিটারিস্ট হতে হলে অবশ্যই প্রচুর
প্র্যাকটিস করতে হবে।
ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড মিউজিকাল সিস্টেমে ইংলিশ অ্যালফাবেট এর প্রথম সাতটি
বর্ণ নোট অথবা সাউন্ড এর পিচ রূপে ব্যবহৃত হয়। বর্ণগুলি হল – A B C D E F G
। ঐতিহাসিক কারণে বর্ণ গুলো কীবোর্ড অথবা হারমোনিয়ামে শুরু হয় C থেকে।
অর্থাৎ এভাবে- CDEFGABC. তাই বেশি ভাগ ক্ষেত্রেই গিটারেও এই রুলটি ব্যবহার
করা হয়।
নোটঃ
নিদিষ্ট সাউন্ড বা স্বরকে নোট বলে । নোট মোট ১২টি যথা—
C-C#-D-D#-E-F-F#-G-G#- A- A#-B
অথবা এভাবে বলা যায় –
A#-B -C-C#-D-D#-E-F-F#-G-G#
অকটেভঃ
একটি নোট থেকে একই নামের আরেকটি নোট এর দূরত্বকে অকটেভ বলা হয়। যেমন- A B C
D E F G A – দেখুন এখানে A টি সব নোট শেষে করে আবার A কে টাচ করেছে। এটি
একটি অকটেভ।
No comments:
Post a Comment